আলী আহসান মুজাহিদ ও ১৯৭১ নামক একটি অনলাইন প্রকাশনা পড়লাম, ওখান থেকে কিছু অংশ এখানে উপস্থাপন করছি-
আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থান ইসলামী ছাত্র সঙ্ঘের (ঢাকা) সভাপতি ছিল এবং ১৯৭১ সালে ঢাকার আল বদর বাহিনীর প্রধান ছিল।
১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে ফরিদপুরের এক সমাবেশে আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ বলে, "ঘৃণ্য শত্রু ভারত কে দখল করার প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদেরকে আসাম দখল করতে হবে। এজন্য আপনারা সশস্র প্রস্তুতি গ্রহন করুন।"
২৫ অক্টোবর ১৯৭১ সালে আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলে, "আমরা আজ ইসলামী বিরোধী শক্তি এবং challenge এর সম্মুখিন । এই পবিত্র দিবসে আমরা জাতির স্বার্থে এবং এদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মোৎসর্গের সপথ গ্রহন করব। "
৭ নভেম্বর ১৯৭১ সালে ঢাকায় বদর দিবস পালিত হয়। এই উপলক্ষে বিকেলে বায়তুল মকারম প্র।ঙ্গনে ঢাকা শহর ইসলামী ছাত্র সঙ্ঘের উদ্যোগে এক গন জমায়েত অনুস্থিত হয়। ওই গন জমায়েত এ আলী আহসান মুজাহিদ ০৪ দফা ঘোষণা করেন-
১। "দুনিয়ার বুকে হিন্দুস্থানের কোন মানচিত্রে আমরা বিশ্বাস করি না। যতদিন পর্যন্ত দুনিয়ার বুক থেকে হিন্দুস্থান এর নাম মুছে দেয়া না যাবে ততদিন পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নিব না।"
২। "আগামী কাল থেকে হিন্দু লেখকদের কোন বই অথবা হিন্দুদের দালালি করে লেখা কোন পুস্তকাদি লাইব্রেরিতে স্থান দিতে পারবেন না বা বিক্রি বা প্রচার করতে পারবেন না। যদি কেউ করেন তবে পাকিস্থানের অস্তিতে বিস্বাসি সেচ্ছাসেবকেরা জ্বালিয়ে ভস্ম করে দিবে।"
৩। "পাকিস্থানের অস্তিতে বিস্বাসি সেচ্ছাসেবকদের সম্পর্কে বিরূপ প্রচার করা হচ্ছে। যারা এই প্রচার করছে তাদের সম্পর্কে হুঁশিয়ার থাকুন।"
৪। বায়তুল মকাদ্দেস কে উদ্ধারের সংগ্রাম চলবে। মুজাহিদ এই ঘোষণা বাস্তবায়িত করার জন্য ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক, জনতার প্রতি আহবান জানিয়ে বলে, "এই ঘোষণা বাস্তবায়িত করার জন্য শির উঁচু করে, বুকে কুরান নিয়ে মর্দে মজাহিদের মত এগিয়ে চলুন। প্রয়োজন হলে নয়াদিল্লি পর্যন্ত এগিয়ে গিয়ে আমরা বৃহত্তর পাকিস্থানের পতাকা উত্তলন করব।"
উক্ত জমায়েতের পর একটি মিছিল বের হয়। মিছিল টি নবাবপুর থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক এ পৌঁছে শেষ হয়। মিছিলের শ্লোগান ছিল-
ক) আমাদের রক্তে , পাকিস্থান টিকবে
খ) বীর মুজাহিদ অস্ত্র ধর, ভারত কে খতম কর
গ) মুজাহিদ এগিয়ে চল, কলিকাতা দখল কর
ঘ) বদর দিবস , সফল হোক
ঙ) ভারতের চর দের , খতম কর। ইত্যাদি
৪ ডিসেম্বর ১৯৭১, এই দিনে শুরু হয় বুদ্ধিজীবী অপহরনের জন্য আল বদরদের নানা কর্মকাণ্ড। আল বদররা এ উপলক্ষে কয়েকটি পথ সভাও করে। এ সমস্থ সভায় ছাত্র সঙ্ঘের নেতারা বুদ্ধিজীবী দের হুসিয়ার করে দিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য রাখে এবং আল বদর দের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়। যুক্ত বিবৃতিতে ছাত্র সঙ্ঘের সভাপতি আলী আহসান মুজাহিদ এবং সেক্রেটারি মীর কাশেম বলে- "হিন্দুস্থান কে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, পাকিস্থান কে ধ্বংস করতে এসে হিন্দুস্থান নিজেই নিসছিনহ হয়ে যাবে।"-----"পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্থিনের বিভিন্ন রনাজ্ঞনে সাম্রাজ্যবাদি হিন্দুস্থানের হামলাকে সাফল্লজনকভাবে প্রতিহত করার জন্য আমরা মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার সাথে সাথে পাকিস্থান সেনাবাহিনী কেও জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন।"
"পাকিস্থানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের গতকালের বেতার ভাষণ কে অভিনন্দন জানিয়ে আমরাও ঘোষণা করছি যে, এদেশের ছাত্র জনতা ৬৫ সালের মতন এবারও ইস্পাত কঠিন শপথ নিয়ে পাকিস্থান বাহিনীর সাথে সহযোগিতা করে যাবে।"
১৯৭১ সালে আলী আহসান মুজাহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিহত করতে আল বদর বাহিনি গড়ে তোলার নির্দেশ দেন দলীয় কর্মীদের। তার সেই স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের গোপন প্রতিবেদনে।
আজ সেই যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদ কাঠগড়ায়, বিচারের অপেক্ষায়। আশা করি বিচার হবেই, বাংলা'র মাটিতেই বিচার হবে।
আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থান ইসলামী ছাত্র সঙ্ঘের (ঢাকা) সভাপতি ছিল এবং ১৯৭১ সালে ঢাকার আল বদর বাহিনীর প্রধান ছিল।
১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে ফরিদপুরের এক সমাবেশে আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ বলে, "ঘৃণ্য শত্রু ভারত কে দখল করার প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদেরকে আসাম দখল করতে হবে। এজন্য আপনারা সশস্র প্রস্তুতি গ্রহন করুন।"
২৫ অক্টোবর ১৯৭১ সালে আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলে, "আমরা আজ ইসলামী বিরোধী শক্তি এবং challenge এর সম্মুখিন । এই পবিত্র দিবসে আমরা জাতির স্বার্থে এবং এদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মোৎসর্গের সপথ গ্রহন করব। "
৭ নভেম্বর ১৯৭১ সালে ঢাকায় বদর দিবস পালিত হয়। এই উপলক্ষে বিকেলে বায়তুল মকারম প্র।ঙ্গনে ঢাকা শহর ইসলামী ছাত্র সঙ্ঘের উদ্যোগে এক গন জমায়েত অনুস্থিত হয়। ওই গন জমায়েত এ আলী আহসান মুজাহিদ ০৪ দফা ঘোষণা করেন-
১। "দুনিয়ার বুকে হিন্দুস্থানের কোন মানচিত্রে আমরা বিশ্বাস করি না। যতদিন পর্যন্ত দুনিয়ার বুক থেকে হিন্দুস্থান এর নাম মুছে দেয়া না যাবে ততদিন পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নিব না।"
২। "আগামী কাল থেকে হিন্দু লেখকদের কোন বই অথবা হিন্দুদের দালালি করে লেখা কোন পুস্তকাদি লাইব্রেরিতে স্থান দিতে পারবেন না বা বিক্রি বা প্রচার করতে পারবেন না। যদি কেউ করেন তবে পাকিস্থানের অস্তিতে বিস্বাসি সেচ্ছাসেবকেরা জ্বালিয়ে ভস্ম করে দিবে।"
৩। "পাকিস্থানের অস্তিতে বিস্বাসি সেচ্ছাসেবকদের সম্পর্কে বিরূপ প্রচার করা হচ্ছে। যারা এই প্রচার করছে তাদের সম্পর্কে হুঁশিয়ার থাকুন।"
৪। বায়তুল মকাদ্দেস কে উদ্ধারের সংগ্রাম চলবে। মুজাহিদ এই ঘোষণা বাস্তবায়িত করার জন্য ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক, জনতার প্রতি আহবান জানিয়ে বলে, "এই ঘোষণা বাস্তবায়িত করার জন্য শির উঁচু করে, বুকে কুরান নিয়ে মর্দে মজাহিদের মত এগিয়ে চলুন। প্রয়োজন হলে নয়াদিল্লি পর্যন্ত এগিয়ে গিয়ে আমরা বৃহত্তর পাকিস্থানের পতাকা উত্তলন করব।"
উক্ত জমায়েতের পর একটি মিছিল বের হয়। মিছিল টি নবাবপুর থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক এ পৌঁছে শেষ হয়। মিছিলের শ্লোগান ছিল-
ক) আমাদের রক্তে , পাকিস্থান টিকবে
খ) বীর মুজাহিদ অস্ত্র ধর, ভারত কে খতম কর
গ) মুজাহিদ এগিয়ে চল, কলিকাতা দখল কর
ঘ) বদর দিবস , সফল হোক
ঙ) ভারতের চর দের , খতম কর। ইত্যাদি
৪ ডিসেম্বর ১৯৭১, এই দিনে শুরু হয় বুদ্ধিজীবী অপহরনের জন্য আল বদরদের নানা কর্মকাণ্ড। আল বদররা এ উপলক্ষে কয়েকটি পথ সভাও করে। এ সমস্থ সভায় ছাত্র সঙ্ঘের নেতারা বুদ্ধিজীবী দের হুসিয়ার করে দিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য রাখে এবং আল বদর দের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়। যুক্ত বিবৃতিতে ছাত্র সঙ্ঘের সভাপতি আলী আহসান মুজাহিদ এবং সেক্রেটারি মীর কাশেম বলে- "হিন্দুস্থান কে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, পাকিস্থান কে ধ্বংস করতে এসে হিন্দুস্থান নিজেই নিসছিনহ হয়ে যাবে।"-----"পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্থিনের বিভিন্ন রনাজ্ঞনে সাম্রাজ্যবাদি হিন্দুস্থানের হামলাকে সাফল্লজনকভাবে প্রতিহত করার জন্য আমরা মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার সাথে সাথে পাকিস্থান সেনাবাহিনী কেও জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন।"
"পাকিস্থানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের গতকালের বেতার ভাষণ কে অভিনন্দন জানিয়ে আমরাও ঘোষণা করছি যে, এদেশের ছাত্র জনতা ৬৫ সালের মতন এবারও ইস্পাত কঠিন শপথ নিয়ে পাকিস্থান বাহিনীর সাথে সহযোগিতা করে যাবে।"
১৯৭১ সালে আলী আহসান মুজাহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিহত করতে আল বদর বাহিনি গড়ে তোলার নির্দেশ দেন দলীয় কর্মীদের। তার সেই স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের গোপন প্রতিবেদনে।
আজ সেই যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদ কাঠগড়ায়, বিচারের অপেক্ষায়। আশা করি বিচার হবেই, বাংলা'র মাটিতেই বিচার হবে।
No comments:
Post a Comment