বিজয়ের মাস ডিসেম্বর চলছে। ৭১ এর এই মাসে আমরা অর্জন করেছিলাম স্বাধীনতা। আসলে "স্বাধীনতা" শব্দটির অর্থ ব্যাপক। এক কথায় এই শব্দ কে সংজ্ঞায়িত করা যায় না।
যা হোক, যে কোন যুদ্ধে দু'দল অংশ নিবে, এটাই স্বাভাবিক। কারন, একা একা যুদ্ধ করা যায় না- এটা আমরা সবাই জানি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও দুটি দল অংশ নিয়েছিল- বাংলাদেশ ও পাকিস্থান, শুনেই বুঝা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ ছিল শোষিত আর পাকিস্থান ছিল শোষক। বাংলাদেশ যুদ্ধ করেছিল "বাংলাদেশ" প্রতিষ্ঠা করার জন্য আর পাকিস্থান যুদ্ধ করেছিল "বাংলাদেশ" প্রতিষ্ঠা না হওয়ার জন্য।
আমরা সবাই জানি যুদ্ধে বাংলাদেশ জয় লাভ করেছে এবং বিশ্ব মানচিত্রে নিজের স্থান দখল করে নিতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু এ বিজয় এত সহজ ছিল না, বিষয় টি আমরা ইতিহাস থেকে জানতে পারি এবং সাধারন ভাবেও চিন্তা করতে পারি।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অনেকে বাংলাদেশ কে সহযোগিতা করেছে। আবার অনেকে সহযোগিতা করেছে পাকিস্থান কে। উভয় দলের পক্ষে এক্ষেত্রে আন্তরজাতিক সহযোগিতার বিষয় টি উল্লেখযোগ্য।
তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ওই যুদ্ধে পাকিস্থানি রা বেশ কিছু বাংলাদেশি'র সহযোগিতা পেয়েছিল, যাদের জন্ম বাংলাদেশ'এ, বাংলা-র বায়ু, জলে তারা অভস্থ ছিলেন। বাংলাদেশে জন্ম নিয়ে, বাংলা-র খেয়ে পড়ে, বাংলা মায়ের বুকে লালিত পালিত হয়ে তারা সেই বাংলা মায়ের সাথেই বেইমানি করেছিলেন, হাতিয়ার দিয়ে আঘাত করেছিলেন বাংলা মায়ের বুকেই।
স্বাধীনতা অর্জনের পর অনেক দিন কেটে গেছে। অনেক জল বয়ে গেছে পদ্মা, মেঘনা, যমুনার বুক দিয়ে। অবশেষে জাতি হিসেবে আমরা উপলদ্ধি করতে পেরেছি, স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সব বাঙালি নিজ দেশের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, নিজের মায়ের বুকে লাথি মেরেছে তাদের বিচার হওয়া দরকার। অবশ্য এই উপলব্ধি আরও আগেই আসা উচিত ছিল বলে আমি মনে করি, হয়তো আসে নি আবার হয়তো আসেছিল কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতির কারনে তা বুকের ভিতরেই চাপা ছিল।
স্বাধীনতা র একটি সময় পর বাংলাদেশ এ কি ঘটে গেছে, তা সকলেই জানেন। যে মুজিব কে পাকিস্থানি রা মারতে পারে নাই সে মুজিব মারা গেছেন এই বাংলা র মানুষের হাতেই। আসলে ৭১ এ আমরা পাকিস্থানিদের পরাজিত করতে পারলেও , তাদের এ'দেশিও দোসর দের পরাজিত করতে পারি নাই, অর্থাৎ বাংলাদেশ এর বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ এখন- ও চলছে। এতদিন তারা যুদ্ধ করেছে ফাঁকা মাঠে কারন আসলে বাঙালি জাতি তাদের এই গেরিলা যুদ্ধের বিষয়ে সজাগ ছিল না, এমনকি মুজিব খুন হওয়ার পরও, এমনকি ৯১'র সাম্প্রদায়িক আক্রমন এর পরও।
দেরিতে হলেও বাংলাদেশিরা আজ জেগে উঠেছে। তাই যুদ্ধের মাঠ আজ আর ফাঁকা নেই। তাই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বেশ সমস্যা তে পড়ে গেছে তারা, স্বাধীনতা যুদ্ধে এ'দেশিও বিরোধীরা অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধীরা। তাই তারা এখন সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে চাচ্ছে, চাইবেই এটাই স্বাভাবিক কারন পানিতে ডুবে যাবার কালে মানুষ খড়কুটা ধরেও বাচতে চায়। তাই এত দিন যারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে নেপত্থে কাজ করে গেছেন তারাও আজ লাজ লজ্জা ভুলে সামনে এগিয়ে আসেছেন। কারন তারা সবাই এক।
ওই ঘাতক দের কেউ কেউ আজ কাঠগড়ায়। আমরা বাঙ্গালিরা আবেগি জাতি, এ কথা বলার কোন অপেক্ষা রাখে না। আমাদের আবেগ আজ আমাদের তাড়া দিচ্ছে, এই আবেগ কে কেউ কোনদিন রুখতে পারে নি, এখন ও পারবে না।
বাংলার মাটিতেই ওইসব জুদ্ধাপরাধির বিচার হবেই। যতই তারা বাঁচার চেষ্টা করুক, সময় শেষ। আজ সমগ্র বাংলা 'কলঙ্ক' মুক্ত হবার বিষয় এ বদ্ধ পরিকর।
যা হোক, যে কোন যুদ্ধে দু'দল অংশ নিবে, এটাই স্বাভাবিক। কারন, একা একা যুদ্ধ করা যায় না- এটা আমরা সবাই জানি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও দুটি দল অংশ নিয়েছিল- বাংলাদেশ ও পাকিস্থান, শুনেই বুঝা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ ছিল শোষিত আর পাকিস্থান ছিল শোষক। বাংলাদেশ যুদ্ধ করেছিল "বাংলাদেশ" প্রতিষ্ঠা করার জন্য আর পাকিস্থান যুদ্ধ করেছিল "বাংলাদেশ" প্রতিষ্ঠা না হওয়ার জন্য।
আমরা সবাই জানি যুদ্ধে বাংলাদেশ জয় লাভ করেছে এবং বিশ্ব মানচিত্রে নিজের স্থান দখল করে নিতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু এ বিজয় এত সহজ ছিল না, বিষয় টি আমরা ইতিহাস থেকে জানতে পারি এবং সাধারন ভাবেও চিন্তা করতে পারি।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অনেকে বাংলাদেশ কে সহযোগিতা করেছে। আবার অনেকে সহযোগিতা করেছে পাকিস্থান কে। উভয় দলের পক্ষে এক্ষেত্রে আন্তরজাতিক সহযোগিতার বিষয় টি উল্লেখযোগ্য।
তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ওই যুদ্ধে পাকিস্থানি রা বেশ কিছু বাংলাদেশি'র সহযোগিতা পেয়েছিল, যাদের জন্ম বাংলাদেশ'এ, বাংলা-র বায়ু, জলে তারা অভস্থ ছিলেন। বাংলাদেশে জন্ম নিয়ে, বাংলা-র খেয়ে পড়ে, বাংলা মায়ের বুকে লালিত পালিত হয়ে তারা সেই বাংলা মায়ের সাথেই বেইমানি করেছিলেন, হাতিয়ার দিয়ে আঘাত করেছিলেন বাংলা মায়ের বুকেই।
স্বাধীনতা অর্জনের পর অনেক দিন কেটে গেছে। অনেক জল বয়ে গেছে পদ্মা, মেঘনা, যমুনার বুক দিয়ে। অবশেষে জাতি হিসেবে আমরা উপলদ্ধি করতে পেরেছি, স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সব বাঙালি নিজ দেশের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, নিজের মায়ের বুকে লাথি মেরেছে তাদের বিচার হওয়া দরকার। অবশ্য এই উপলব্ধি আরও আগেই আসা উচিত ছিল বলে আমি মনে করি, হয়তো আসে নি আবার হয়তো আসেছিল কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতির কারনে তা বুকের ভিতরেই চাপা ছিল।
স্বাধীনতা র একটি সময় পর বাংলাদেশ এ কি ঘটে গেছে, তা সকলেই জানেন। যে মুজিব কে পাকিস্থানি রা মারতে পারে নাই সে মুজিব মারা গেছেন এই বাংলা র মানুষের হাতেই। আসলে ৭১ এ আমরা পাকিস্থানিদের পরাজিত করতে পারলেও , তাদের এ'দেশিও দোসর দের পরাজিত করতে পারি নাই, অর্থাৎ বাংলাদেশ এর বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ এখন- ও চলছে। এতদিন তারা যুদ্ধ করেছে ফাঁকা মাঠে কারন আসলে বাঙালি জাতি তাদের এই গেরিলা যুদ্ধের বিষয়ে সজাগ ছিল না, এমনকি মুজিব খুন হওয়ার পরও, এমনকি ৯১'র সাম্প্রদায়িক আক্রমন এর পরও।
দেরিতে হলেও বাংলাদেশিরা আজ জেগে উঠেছে। তাই যুদ্ধের মাঠ আজ আর ফাঁকা নেই। তাই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বেশ সমস্যা তে পড়ে গেছে তারা, স্বাধীনতা যুদ্ধে এ'দেশিও বিরোধীরা অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধীরা। তাই তারা এখন সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে চাচ্ছে, চাইবেই এটাই স্বাভাবিক কারন পানিতে ডুবে যাবার কালে মানুষ খড়কুটা ধরেও বাচতে চায়। তাই এত দিন যারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে নেপত্থে কাজ করে গেছেন তারাও আজ লাজ লজ্জা ভুলে সামনে এগিয়ে আসেছেন। কারন তারা সবাই এক।
ওই ঘাতক দের কেউ কেউ আজ কাঠগড়ায়। আমরা বাঙ্গালিরা আবেগি জাতি, এ কথা বলার কোন অপেক্ষা রাখে না। আমাদের আবেগ আজ আমাদের তাড়া দিচ্ছে, এই আবেগ কে কেউ কোনদিন রুখতে পারে নি, এখন ও পারবে না।
বাংলার মাটিতেই ওইসব জুদ্ধাপরাধির বিচার হবেই। যতই তারা বাঁচার চেষ্টা করুক, সময় শেষ। আজ সমগ্র বাংলা 'কলঙ্ক' মুক্ত হবার বিষয় এ বদ্ধ পরিকর।
No comments:
Post a Comment