Friday, July 26, 2013

ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করার উপায়

 
ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করা যেতে পারে রেল স্টেশনের বুথ থেকে। ঢাকা এবং আশেপাশের রেল স্টেশনগুলো হল নারায়ণগঞ্জ, গেন্ডারিয়া, কমলাপুর, তেজগাঁও, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর, টঙ্গী এবং জয়দেবপুর। এর মধ্যে নারায়ণঞ্জ এবং গেন্ডারিয়া রেল স্টেশন ছাড়া অন্য রেল স্টেশনগুলোয় কম্পিউটারাইজড ডাটাবেস নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে টিকেট বিক্রি করা হয়। ফলে যেকোন গন্তব্যের টিকেট কাটা যায় এসব স্টেশন থেকে।
 
বুথগুলোয় সাধারণত ভিড় লেগেই থাকে। ভিড় এড়ানোর জন্য ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টিকেট সংগ্রহ করা যায় এখন। মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক এবং গ্রামীনফোনের গ্রাহকগণ নিজের মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন। কিংবা সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন কোম্পানীর গ্রাহকসেবা কেন্দ্র থেকে যে কেউ টিকেট সংগ্রহ করতে পারে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর একটি নম্বর এসএমএস আকারে গ্রাহকের মোবাইল ফোনে পৌঁছে যায়। এটি দেখিয়ে ভ্রমণের আগে ফোন কোম্পানীর গ্রাহক সেবা কেন্দ্র বা রেল স্টেশন থেকে প্রিন্ট আউট নিতে হয়।
 
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টিকেট সংগ্রহের পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যেতে পারে রেলওয়ের ওয়েবসাইট বা সংশ্লিষ্ট ফোন কোম্পানীর ওয়েবসাইট থেকে।
 
যোগাযোগ
কমলাপুর
০২-৯৩৫৮৬৩৪
০২-৮৩১৫৮৫৭
০২-৯৩৩১৮২২
০১৭১১-৬৯১৬১২
বিমানবন্দর
০২-৮৯২৪২৩৯
ওয়েবসাইট: www.railway.gov.bd
 
সাধারণ কিছু নিয়ম:
  • টিকেট হস্তান্তর যোগ্য নয়।
  • তিন থেকে বারো বছরের ছেলেমেয়েদের জন্য অপ্রাপ্ত বয়স্ক টিকেট কেনা বাধ্যতামূলক।
  • বিনা মাশুলে যাত্রীর সংগে বহনযোগ্য ব্যবহার্য সামগ্রীঃ এসি-৫৬ কেজি, প্রথম শ্রেণী-৩৭.৫ কেজি, শোভন-২৮ কেজি, সুলভ/দ্বিতীয় শ্রেণী-২৩ কেজি।
  • বিশেষ কারণবশত যাত্রাকালে কোচ/সীট নম্বর পরিবর্তিত হতে পারে।
  • আন্তঃনগর ট্রেনের জন্য ৩ দিন আগে সীট রিজার্ভেশনসহ টিকেট কেনা যায়।
  • টিকেট কাউন্টারের ডিসপ্লে-তে খালি আসন ও ভাড়া ইত্যাদি সংক্রান্ত তথ্য জানার সুবিধা রয়েছে।
  • টিকেট প্রাপ্তির ব্যাপারে যাত্রীগণ প্রয়োজনে তৎক্ষণিকভাবে আন্তঃনগর ট্রেন বিরতি ষ্টেশনসমূহের বুকিং কাউন্টারের সামনে লিখিত মোবাইল নম্বরে সংশ্লিষ্ট রেল কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

টিকেট ফেরত দেয়া

ট্রেন ছাড়ার ৪৮ ঘন্টা পূর্বে ফেরত দিলে সংশ্লিষ্ট শ্রেণীর ক্লারিকেল চার্জ কর্তন সাপেক্ষে পূর্ণ মূল্য ফেরত দেওয়া হয়।
 
সময়
কমিশন
৪৮ ঘন্টা পূর্বে
৪ টাকা
২৪ ঘন্টা থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে
২০%
১২ থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে
৩০%
৬ ঘন্টা থেকে ১২ ঘন্টার মধ্যে
৪০%
৩ ঘন্টা থেকে ৬ ঘন্টার মধ্যে
৫০%
ট্রেন ছাড়ার ৩ ঘন্টার কম সময়ের মধ্যে টিকেটের মূল্য ফেরত পাওয়া যায় না।
 
 
 
ইন্টারনেটে ট্রেনের টিকেট

সম্প্রতি ইন্টারনেটে ট্রেনের টিকেট কাটার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে স্বল্প পরিসরে এ ব্যবস্থা চালু করা হলেও শীঘ্রই এ সেবা বিস্তৃত করা হবে বলে জানাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।
 
ইন্টারনেটে টিকেট কাটতে হলে প্রথমে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে  হবে। এরপর ই-মেইল ঠিকানা এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করতে হবে। তারপর নির্ধারিত গন্তব্যের টিকেট বেছে নিয়ে ভিসা বা মাস্টারকার্ড সমর্থিত ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করার পর গ্রাহকের ই-মেইল ঠিকানায় বিস্তারিত তথ্য পাঠিয়ে দেয়া হবে। এটির প্রিন্ট নিয়ে ট্রেন ছাড়ার ১৫ মিনিট আগে স্টেশনে উপস্থিত হতে হবে; ২০ টাকা অতিরিক্ত মাশুল দিতে হবে এজন্য।
 
টিকেট কাটার বিস্তারিত:
 
রেলওয়ের ওয়েবসাইটে (www.railway.gov.bd) গিয়ে ‘পারচেজ ই টিকেট’-এ ক্লিক করতে হবে। এরপর এরকম একটি পৃষ্ঠা পাওয়া যাবে:
 

 
নতুন ব্যবহারকারী হলে ‘সাইন আপ’-এ ক্লিক করতে হবে।  এরপর এরকম একটি পৃষ্ঠা পাওয়া যাবে:
 

 
প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফরমটি পুরণ করতে হবে। সঠিকভাবে ফরমটি পূরণ করা হলে গ্রাহকের ই-মেইল ঠিকানায় একটি এক্টিভেশন লিংঙ্ক পাঠানো হবে। যেটির চিত্র অনেকটা এরকম:
 

 
এই এক্টিভেশন লিংকে ক্লিক করার পরই কেবল গ্রাহকের একাউন্ট চালু হবে।
 
এরপর আবার রেলওয়ের ওয়েবসাইট (www.railway.gov.bd) এ গিয়ে ‘পারচেজ ই টিকেট’-এ ক্লিক করতে হবে। এখানে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড দিয়ে নিজের একাউন্টে প্রবেশ করতে হবে। এরপর এরকম একটি পৃষ্ঠা পাওয়া যাবে:
 

 
এখান থেকে ‘পারচেজ টিকেট’-এ ক্লিক করতে হবে। এরপর এরকম একটি পৃষ্ঠা পাওয়া যাবে:
 

 
এখানে ড্রপ ডাউন বক্সগুলো থেকে  নির্বাচন কাজ সম্পন্ন করে ‘সার্চ’ বোতামে ক্লিক করতে হবে। আসন খালি থাকলে টিকেটের মূল্য এবং সার্ভিস চার্জ জানিয়ে সম্মতি চাওয়া হবে। সম্মতি দেবার পর এরকম একটি পৃষ্ঠা পাওয়া যাবে:
 

 
ভিসা, মাস্টার কার্ড বা ব্র্যাক ব্যাংক এই তিন ব্যবস্থার মাধ্যমে টিকেটের মূল্য পরিশোধ করা যায়। এখান থেকে প্রয়োজনীয় পদ্ধতি বেছে নেবার পর এরকম একটি পৃষ্ঠা পাওয়া যাবে:
 

 
এবার কার্ডের তথ্য দিয়ে টিকেট কাটার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। গ্রাহকের ই-মেইল ঠিকানায় প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠিয়ে দেয়া হবে। এরপর গ্রাহককে সেটির প্রিন্ট কপি, মোবাইল ফোন (যে নম্বরটি তার একাউন্টে দেয়া আছে), ক্রেডিট কার্ড (যেটি ব্যবহার করে টিকেট কেনা হয়েছে) ইত্যাদি প্রদর্শন করে যাত্রার ১৫ মিনিট আগে টিকেটের মূল কপি সংগ্রহ করতে হবে।
 
অন্যান্য তথ্য:
  • প্রাথমিকভাবে কেবল বাংলাদেশী নাগরিকগণ ইন্টারনেটে টিকেট কাটার সুবিধা পাচ্ছেন।
  • একজন ব্যক্তি একসাথে সর্বোচ্চ চারটি টিকেট কাটতে পারেন।
  • যাত্রার সর্বোচ্চ তিন দিন আগের টিকেট কাটা সম্ভব।
  • ইন্টারনেটে টিকেট কাটার জন্য ২০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হয়।

 
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট কাটা

একটি নম্বর থেকে এক দিনে কেবল একটি টিকেট কাটা যায় আর এক টিকেটে সর্বোচ্চ ৪ জনের টিকেট কাটা যায়। অগ্রীম টিকেট কাটা যায় তবে সর্বোচ্চ ৩ দিন আগের টিকেট কাটা যায়। প্রতি সিটের জন্য ভ্যাটসহ ২০ টাকা চার্জ দিতে হয়। গ্রাহক সেবা কেন্দ্র থেকে টিকেট কাটার জন্য যে স্টেশন থেকে যাত্রা করা হবে সে স্টেশনের নাম, গন্তব্যে স্টেশন, যাত্রার তারিখ, ভ্রমণ শ্রেণী, টিকেটের সংখ্যা, ভ্রমণকারীর ফোন নম্বর  ইত্যাদি তথ্য প্রদান করতে হয়।
গ্রাহক নিজে টিকেট সংগ্রহ করতে চাইলে আগে তাকে গ্রাহকসেবা কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় অংকের টিকেট ব্যালেন্স নিতে হয় বা ওয়ালেট রিফিল করতে হয়। ওয়ালেট রিফিল কনফার্ম করার জন্য yes এর পর একটি স্পেস দিয়ে কাস্টমার পিন লিখে 480 নম্বরে sms পাঠাতে হয়।
যেমন- yes <space> 2468.
2468 এক্ষেত্রে কাস্টমার পিন।
 
টিকেট কাটার জন্য
*131# ডায়াল করতে হয় এরপর পিন নম্বর চাইলে পিন নম্বর দেয়ার পর ‘1’ চেপে টিকেট কাটার অপশন নির্বাচন করতে হবে। তারপর ভ্রমন তারিখ জানতে চাইবে। ভ্রমণ তারিখ দেবার পর যে স্টেশন থেকে যাত্রা করা হবে সেটি নির্বাচন করতে হবে। এরপর গন্তব্য স্টেশন জানতে চাইবে। গন্তব্য স্টেশনের প্রথম তিন অক্ষর টাইপ করতে হবে। গন্তব্য স্টেশন নির্বাচন করার পর ঐ তিন অদ্যক্ষরের স্টেশনগুলোর একটি তালিকা পাওয়া যাবে। সেখান থেকে স্টেশন নির্বাচন করতে হবে। যেমন- chi দিলে Chittagong এবং chisti_road পাওয়া যাবে। স্টেশন নির্বাচন করার পর ট্রেনের একটি তালিকা পাওয়া যাবে। সেখান থেকে ট্রেন নির্বাচন করতে হবে। এরপর কোন শ্রেনীতে ভ্রমণ করা হবে সেটি নির্বাচন করতে হবে। তার পর একটি তালিকা পাওয়া যাবে। সেখান থেকে পুরুষ, মহিলা, শিশু এবং যাত্রী সংখ্যা নির্বাচন করতে হয়। এরপর টিকেটের মূল্য জানিয়ে নিশ্চিত করনের জন্য একটি মেন্যু আসবে। সেখান থেকে নিশ্চিতকরণের পর পিন নম্বর প্রদান করতে হয়। তারপর txnid পাওয়া যাবে। সেটি দেখিয়ে প্রিন্ট আউট নিতে হয়।
 

বাংলালিংকের ওয়েবসাইট- www.banglalinkgsm.com

গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইট- www.grameenphone.com


দেখে 

নিচের লেখাগুলোও আপনি পছন্দ করতে পারেন-

শরীরের উচ্চতা অনুযায়ী আদর্শ ওজন  

সিম কার্ডও সুরক্ষিত নয়! 

একটি নাম্বারই হোক আমাদের পরিচয় 

Post Comment

No comments:

Post a Comment