"চেনা বামনের পৈতা লাগেনা" বিষয়টির উৎপত্তি নিয়ে কিছু উদ্ভট ও বানোয়াট তথ্য দিব। :P
"চেনা বামনের পৈতা লাগেনা" কথাটির উৎপত্তি তৎকালীন ভারত উপমহাদেশের "বামন যুগ" এ। বামন যুগ নিয়ে আমাদের সবারই কম বেশি কিছু ধারনা আছে। বামন যুগে বামনরা ছিল সমাজের উঁচু শ্রেণীর লোক। তাদের তখন সমাজের অন্য শ্রেণীর লোকরা পূজা করত। সমাজে তখন বামনরা যা বলত তাই আইন হয়ে যেত, এমনকি তারা যদি সকালে একটি বিষয়কে ভাল বলত, সকলে সেটা ভাল বলে মেনে নিত। আবার বিকেলে যদি সেই একই বিষয়টিকে খারাপ বলত তখন সবাই সেটা খারাপ বলেই মেনে নিত।
যা হোক প্রথাগতভাবেই তখনও সব বামনরা পৈতা পড়ত। ওই যুগের মাঝামাঝি সময়ে "ত্রিপুরা" র বামন সমাজের নেতা নির্বাচিত হয়েছিল "চিরন্ময় ভট্টাচার্য"। বামন সমাজের নেতা নির্বাচন পদ্ধতিটাও ছিল উল্লেখযোগ্য, অন্য কোন দিন ওই বিষয়ে একটি বানোয়াট আলোচনা করবো। নেতা নির্বাচিত হবার পরই চিরন্ময় বাবু পৈতা পড়া বন্ধ করে দিল। ত্রিপুরার পুরো বামন সমাজে ছি ছি রব উঠল। যারা তাকে নেতা নির্বাচিত করল, সে সকল বামনরা তাদের ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুতপ্ত হতে লাগল। জ্যেষ্ঠ বামনরা কলি যুগের সুস্পষ্ট আগমন খোলা চোখে দেখতে লাগলো।
উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরার সকল বামন একজোট হয়ে তখনকার ভারত উপমহাদেশের বামন সমাজের কেন্দ্র "বানারস" এ গেল এবং বামন সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির মূল নেতা "চম্পক্ময় চট্টোপাধ্যায়" কে বিষয়টি অবগত করল। "চম্পক্ময় চট্টোপাধ্যায়" ত্রিপুরা থেকে "চিরন্ময় ভট্টাচার্য" কে "বানারস" এ ডেকে পাঠাল। কেন্দ্রীয় কমিটি পৈতা বিহীন "চিরন্ময় ভট্টাচার্য" এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের নিয়ে সভায় বসলো। সভায় সবাই একমত হল যে যদি "চিরন্ময় ভট্টাচার্য" ত্রিপুরার বামন সমাজের নেতা থাকতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই পৈতা পড়তে হবে। অন্যথায় তাকে নেতা পদ থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়ে বামন সমাজ-ছাড়া করা হবে। ওই সভায় সকলের কথা শুনে "চিরন্ময় ভট্টাচার্য" বিনীতভাবে বলল যে সে সকল সিদ্ধান্ত মেনে নিবে তবে তার আগে কেন্দ্রীয় নেতা "চম্পক্ময় চট্টোপাধ্যায়"কে একদিনের জন্য ত্রিপুরা থেকে বেড়িয়ে যেতে সে অনুরোধ করলো। "চম্পক্ময় চট্টোপাধ্যায়" তাতে রাজি হল।
কেন্দ্রীয় নেতা "চম্পক্ময় চট্টোপাধ্যায়" ত্রিপুরা পৌঁছালে তাকে নিয়ে "চিরন্ময় ভট্টাচার্য" ত্রিপুরা মূল বাজারের দিকে পায়ে হেঁটে রওনা হল। যেতে যেতে যত আম জনতার সাথে দেখা হল সকলে ত্রিপুরার বামন নেতা "চিরন্ময় ভট্টাচার্য" কে পায়ে ধরে প্রনাম করল এবং বাজারেও একই ঘটনা ঘটল কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতা "চম্পক্ময় চট্টোপাধ্যায়" কে কেউ কোন সন্মান প্রদর্শন করল না। বাজার থেকে ঘুরে এসে "চিরন্ময় ভট্টাচার্য" কেন্দ্রীয় নেতা "চম্পক্ময় চট্টোপাধ্যায়" কে বলল, দেখেছেন আমি পৈতা বিহীন ছিলাম কিন্তু আপনার পৈতা ছিল কিন্তু এই যে আমরা বাজার থেকে ঘুরে আসলাম, সকলে আমাকে কি রকম সন্মান করেছে কিন্তু পৈতা থাকা সত্ত্বেও আপনাকে কেউ সন্মান করেনি। কারন তারা সবাই আমাকে বামন হিসেবে চিনে ও জানে, কিন্তু আপনাকে কেউ চিনে না। যদি আপনি আপনার পৈতা পাঞ্জাবির ভেতর থেকে বের করে তাদের দেখাতেন, তাহলে তারা বামন হিসেবে আপনাকে জানত এবং সন্মান করত। অর্থাৎ পৈতা আমার মত চেনা বামনদের জন্য দরকার নেই বরং আপনার মত অচেনা বামনদের দরকার। বিজ্ঞ কেন্দ্রীয় নেতা "চম্পক্ময় চট্টোপাধ্যায়" বিষয়টি বুঝতে পারল এবং কেন্দ্রে গিয়ে ঘোষণা করল, যে সমাজে যে বামন সকলের চেনা তাদের পৈতা পড়ার কোন বাধ্য বাধকতা আর থাকবে না। পৈতা পড়া আবশ্যিক থাকবে শুধুমাত্র অচেনা বামনদের জন্য। এরপর থেকে "চিরন্ময় ভট্টাচার্য" পৈতাবিহীনভাবেই ত্রিপুরার বামন নেতা পদে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল এবং সমাজে একটি প্রবাদ বাক্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল "চেনা বামনের পৈতা লাগেনা"।
===========================================
এই ধরনের আরও লেখা পড়তে নিচের লিংক এ ক্লিক করুন-
এখানে ক্লিক করুন
"চেনা বামনের পৈতা লাগেনা" কথাটির উৎপত্তি তৎকালীন ভারত উপমহাদেশের "বামন যুগ" এ। বামন যুগ নিয়ে আমাদের সবারই কম বেশি কিছু ধারনা আছে। বামন যুগে বামনরা ছিল সমাজের উঁচু শ্রেণীর লোক। তাদের তখন সমাজের অন্য শ্রেণীর লোকরা পূজা করত। সমাজে তখন বামনরা যা বলত তাই আইন হয়ে যেত, এমনকি তারা যদি সকালে একটি বিষয়কে ভাল বলত, সকলে সেটা ভাল বলে মেনে নিত। আবার বিকেলে যদি সেই একই বিষয়টিকে খারাপ বলত তখন সবাই সেটা খারাপ বলেই মেনে নিত।
যা হোক প্রথাগতভাবেই তখনও সব বামনরা পৈতা পড়ত। ওই যুগের মাঝামাঝি সময়ে "ত্রিপুরা" র বামন সমাজের নেতা নির্বাচিত হয়েছিল "চিরন্ময় ভট্টাচার্য"। বামন সমাজের নেতা নির্বাচন পদ্ধতিটাও ছিল উল্লেখযোগ্য, অন্য কোন দিন ওই বিষয়ে একটি বানোয়াট আলোচনা করবো। নেতা নির্বাচিত হবার পরই চিরন্ময় বাবু পৈতা পড়া বন্ধ করে দিল। ত্রিপুরার পুরো বামন সমাজে ছি ছি রব উঠল। যারা তাকে নেতা নির্বাচিত করল, সে সকল বামনরা তাদের ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুতপ্ত হতে লাগল। জ্যেষ্ঠ বামনরা কলি যুগের সুস্পষ্ট আগমন খোলা চোখে দেখতে লাগলো।
উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরার সকল বামন একজোট হয়ে তখনকার ভারত উপমহাদেশের বামন সমাজের কেন্দ্র "বানারস" এ গেল এবং বামন সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির মূল নেতা "চম্পক্ময় চট্টোপাধ্যায়" কে বিষয়টি অবগত করল। "চম্পক্ময় চট্টোপাধ্যায়" ত্রিপুরা থেকে "চিরন্ময় ভট্টাচার্য" কে "বানারস" এ ডেকে পাঠাল। কেন্দ্রীয় কমিটি পৈতা বিহীন "চিরন্ময় ভট্টাচার্য" এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের নিয়ে সভায় বসলো। সভায় সবাই একমত হল যে যদি "চিরন্ময় ভট্টাচার্য" ত্রিপুরার বামন সমাজের নেতা থাকতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই পৈতা পড়তে হবে। অন্যথায় তাকে নেতা পদ থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়ে বামন সমাজ-ছাড়া করা হবে। ওই সভায় সকলের কথা শুনে "চিরন্ময় ভট্টাচার্য" বিনীতভাবে বলল যে সে সকল সিদ্ধান্ত মেনে নিবে তবে তার আগে কেন্দ্রীয় নেতা "চম্পক্ময় চট্টোপাধ্যায়"কে একদিনের জন্য ত্রিপুরা থেকে বেড়িয়ে যেতে সে অনুরোধ করলো। "চম্পক্ময় চট্টোপাধ্যায়" তাতে রাজি হল।
কেন্দ্রীয় নেতা "চম্পক্ময় চট্টোপাধ্যায়" ত্রিপুরা পৌঁছালে তাকে নিয়ে "চিরন্ময় ভট্টাচার্য" ত্রিপুরা মূল বাজারের দিকে পায়ে হেঁটে রওনা হল। যেতে যেতে যত আম জনতার সাথে দেখা হল সকলে ত্রিপুরার বামন নেতা "চিরন্ময় ভট্টাচার্য" কে পায়ে ধরে প্রনাম করল এবং বাজারেও একই ঘটনা ঘটল কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতা "চম্পক্ময় চট্টোপাধ্যায়" কে কেউ কোন সন্মান প্রদর্শন করল না। বাজার থেকে ঘুরে এসে "চিরন্ময় ভট্টাচার্য" কেন্দ্রীয় নেতা "চম্পক্ময় চট্টোপাধ্যায়" কে বলল, দেখেছেন আমি পৈতা বিহীন ছিলাম কিন্তু আপনার পৈতা ছিল কিন্তু এই যে আমরা বাজার থেকে ঘুরে আসলাম, সকলে আমাকে কি রকম সন্মান করেছে কিন্তু পৈতা থাকা সত্ত্বেও আপনাকে কেউ সন্মান করেনি। কারন তারা সবাই আমাকে বামন হিসেবে চিনে ও জানে, কিন্তু আপনাকে কেউ চিনে না। যদি আপনি আপনার পৈতা পাঞ্জাবির ভেতর থেকে বের করে তাদের দেখাতেন, তাহলে তারা বামন হিসেবে আপনাকে জানত এবং সন্মান করত। অর্থাৎ পৈতা আমার মত চেনা বামনদের জন্য দরকার নেই বরং আপনার মত অচেনা বামনদের দরকার। বিজ্ঞ কেন্দ্রীয় নেতা "চম্পক্ময় চট্টোপাধ্যায়" বিষয়টি বুঝতে পারল এবং কেন্দ্রে গিয়ে ঘোষণা করল, যে সমাজে যে বামন সকলের চেনা তাদের পৈতা পড়ার কোন বাধ্য বাধকতা আর থাকবে না। পৈতা পড়া আবশ্যিক থাকবে শুধুমাত্র অচেনা বামনদের জন্য। এরপর থেকে "চিরন্ময় ভট্টাচার্য" পৈতাবিহীনভাবেই ত্রিপুরার বামন নেতা পদে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল এবং সমাজে একটি প্রবাদ বাক্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল "চেনা বামনের পৈতা লাগেনা"।
===========================================
এই ধরনের আরও লেখা পড়তে নিচের লিংক এ ক্লিক করুন-
এখানে ক্লিক করুন
No comments:
Post a Comment