১ম বিভাগ - রাশি বৈশিষ্ট্য।
২য় বিভাগ - আপনার রাশির সঙ্গি রাশি।
১ম বিভাগ - রাশি বৈশিষ্ট্য -
১। মেষরাশি (Aries)
মেষরাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত স্বতঃস্ফূর্ত ও লক্ষ্য নির্ধারিত হয়ে থাকে। তারা খুব অল্পতেই রেগে যায়। তবে তারা যে কোন বিষয় খুব দ্রত বুঝতে পারে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারে। তাদের আচারণ বেশ বন্ধুত্তপূর্ণ।
২। বৃষরাশি (Taurus)
বৃষরাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত ধৈর্যশীল ও বিশ্বাসী হয়ে থাকে। তারা অল্পতে রেগে গেলেও আবার খুব তাড়াতাড়ি রাগ সামলে নিতে পারে। এরা অনেকটা জেদি ও অবুঝ হলেও আবার বেশ রোমান্টিক হয়ে থাকে।
৩। মিথুনরাশি (Gemini)
মিথুনরাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত পরিবর্তন ও সৃজনশীল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তারা অনেকটা বহির্মুখী ও বাঁচাল, কিন্তু সবসময় নির্দিষ্ট লক্ষের পথে চলে।
৪। কর্কটরাশি (Cancer)
কর্কটরাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত শান্ত ও শান্তিপ্রিয়। তারা মানুষের প্রকৃতি খুব সহজেই বুঝতে পারে। তারা অনেকটা ধৈর্যশীল ও আবেগপ্রবণ, তবে তারা নিজেদের আবেগকে আড়াল করতেও সক্ষম।
৫। সিংহরাশি (Leo)
সিংহরাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত স্বহৃদয়বান হয় এবং সব সময় ন্যায় ও নীতির পথে চলে। তারা সৎ চরিত্রের মানুষ হয় ও তাদের ভিতর নেতৃত্ব দানের গুণাবলী লক্ষ্য করা যায়।
৬। কন্যারাশি (Virgo)
কন্যারাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত চাপা স্বভাবের এবং প্রতিটি ছোট ছোট ব্যাপারেই সতর্কতা অবলম্বন করে থাকে ও কোন কাজে ঝুঁকি নিতে চায় না। এরা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও যে কোন কাজ ভাল ভাবে সংগঠিত করতে পারে।
৭। তুলারাশি (Libra)
তুলারাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত প্রকৃতিগত ভাবেই ভারসাম্যপূর্ণ এবং চিন্তাশীল। তারা পুরো পৃথিবীটাকেই নিজের পরিবার মনে করে এবং সবসময় ভাল কাজ করার কথা চিন্তা করে। এরা নিজের আবেগকে মানুষের মাঝে সহজে প্রকাশ করে না।
৮। বৃশ্চিকরাশি (Scorpio)
বৃশ্চিকরাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত অনেক বুদ্ধিমান/বুদ্ধিমতী ও স্থির প্রকৃতির হয়ে থাকে। এদের জীবন অনেক নাটকীয় এবং উজ্জ্বল। সাধারণত মনে করা হয় এদের জন্ম হয়ে জয় করা বা লক্ষে পৌঁছানর জন্য।
৯। ধনুরাশি (Sagittarius)
ধনুরাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত পছন্দ করে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে ও ঝুঁকি নিতে। তারা অনেক প্রাণবন্ত এবং বাস্তব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পছন্দ করে। এরা কিছুটা অহংকারী হয় ও দার্শনিক প্রকৃতির হয়ে থাকে।
১০। মকররাশি (Capricorn)
মকররাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত কঠোর পরিশ্রমী হয়ে থাকে। এরা কোন বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে অনেক বেশি সময় অপচয় করে থাকে। এরা সব সময় নিজের স্বার্থের দিকে বিশেষ নজর দিয়ে থাকে এবং প্রয়জনে কোন কাজ সম্পাদন করতে ছলনার আশ্রয়ও নিয়ে থাকে।
১১। কুম্ভরাশি (Aquarius)
কুম্ভরাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত বিশ্বাসী হয়ে থাকে এবং সত্যের পথে আস্থাশীল। এদের ভিতর অনেকটা বুদ্ধিজীবী ও দার্শনিকের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়।
১২। মীনরাশি (Pisces)
মীনরাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত বন্ধুসুলভ হয়ে থাকে, এরা খুব সহজেই বন্ধুত্তের হাত বাড়িয়ে দেয় এবং অনেক যত্নবান হয়ে থাকে যে কোন বিষয়ে। এরা যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম।
২য় বিভাগ - আপনার রাশির সঙ্গি রাশি -
মেষ : মেষ জাতক/জাতিকার সঙ্গে আরেক মেষ জাতক/জাতিকার ভালোবাসার সম্পর্ক সহজেই গড়ে ওঠে না। ভালোবাসার জন্য এদের সিংহ ও ধনু জাতককে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। মেষ ও সিংহের সমন্বয়ে রসায়ন হয় শুভ। শেষ পর্যন্ত তা গড়াতে পারে বিবাহবন্ধনে।
বৃষ : এ জাতক/জাতিকার জন্য ভালোবাসার মানুষ পাওয়া যাবে কন্যা রাশির জাতক/জাতিকা থেকে। অনেক ক্ষেত্রেই বৃষ নারীর ভালোবাসা সুপ্রসন্ন হতে পারে নিজের রাশির কাউকে বিয়ে করার পর। বৃষ ও কন্যার সমন্বয়ে যে ভালোবাসা প্রস্ফুটিত হয় সেটি অনেকদূর পর্যন্ত যেতে পারে। পাড়ি দিতে পারে অনেক বাধা-বিঘ্ন।
মিথুন : এ জাতক/জাতিকার সঙ্গে তুলা ও সিংহ রাশির কারও সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হতে পারে। এ জাতকের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারে মেষ জাতিকা। আবার অনেক সময় এ জাতিকার সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারে কর্কট জাতকের। মিথুন ও সিংহের সমন্বয়ে ভালোবাসার ঘর হতে পারে দৃঢ়। এদের প্রধান শত্রু হতে পারে কুম্ভ জাতক/জাতিকা।
কর্কট : এ জাতকের ভালো বন্ধু হতে পারে কন্যা রাশির জাতক। জীবনসঙ্গী হিসেবে কন্যা রাশিকে অগ্রাধিকার দিতে পারেন। কন্যা রাশির জাতিকা আপনার জীবনকে অনেকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। কন্যা রাশির জাতিকা পাওয়ার জন্য অনেক বাধা-বিঘ্ন পেরুতে হবে। বিশেষ করে সিংহ জাতক/জাতিকা আপনার ভালোবাসার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাছাড়া কুম্ভ রাশির সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে তোলা যেতে পারে।
সিংহ : মেষ রাশির যে কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়া যেতে পারে। সিংহ জাতিকার সবচেয়ে ভালো বন্ধু পাওয়া যাবে মিথুন ও ধনু রাশিতে। বিশেষ করে কন্যা রাশির জাতক/জাতিকাদের এড়িয়ে যাওয়া ভালো। কন্যা রাশির সঙ্গে দাম্পত্য শুরু করলেও ভবিষ্যৎ নিয়ে থাকতে হবে অনিশ্চিত। বাধা আসবে পারিবারিকভাবে।
কন্যা : এ জাতকের আদর্শ বন্ধু ও জীবনসঙ্গী হতে পারে কর্কট জাতক থেকে। এছাড়া মকরের সঙ্গেও সুসম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। এ জাতকের সবচেয়ে বড় শত্রু হবে সিংহ জাতক বা জাতিকা থেকে। কর্কট জাতকের সঙ্গে ভালোবাসার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে সিংহ জাতক/জাতিকা।
তুলা : এ জাতকের জন্য ভালো বন্ধু হতে পারে মিথুন জাতিকার কেউ। এছাড়া নিজ রাশির সঙ্গেও ভালো বনিবনা হতে পারে। তবে বৃশ্চিকের সঙ্গে ভালোবাসর সম্পর্ক গড়া ঠিক হবে না। কারণ তুলা ও বৃশ্চিকের সমন্বয়ের ভালোবাসার ঘর হবে ক্ষণস্থায়ী। মুখোমুখি হতে হবে অনেক সমস্যার।
বৃশ্চিক : এ জাতকের সঙ্গে ধনু, মকর ও মীন জাতকের সম্পর্ক হতে পারে। নিজ রাশির জাতক-জাতিকার সঙ্গে সম্পর্ক হলে তা ক্ষণস্থায়ী হতে পারে। বিয়ের ক্ষেত্রে কর্কট জাতক/জাতিকাকে এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ কর্কট ও বৃশ্চিকের সমন্বয়ে দাম্পত্য বেশিদিন স্থায়ী হয় না। বিশেষ করে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকবে।
ধনু : এ জাতক বা জাতিকার সঙ্গে মেষ ও মকরের ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। ধনু জাতক বা জাতিকাকে এড়িয়ে চলুন। পাশাপাশি বৃশ্চিক, মকর ও মীন রাশির কাউকে প্রধান্য দেওয়া যেতে পারে। এ জাতকের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারে মেষ রাশির জাতকের সঙ্গে। মেষ ও ধনুর সমন্বয়ে ভালোবাসার সম্পর্ক এগিয়ে যায় অনেকদূর।
মকর : এ জাতকের সঙ্গে নিজ জাতকের বন্ধুত্ব স্থায়ী হয় না। কন্যা, ধনু ও মীন জাতকের মধ্যে থেকে বন্ধু খুঁজে নেওয়া ভালো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তুলা রাশির সঙ্গেও সম্পর্ক করা যেতে পারে। কারণ তুলা ও মকরের সমন্বয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার বৃহস্পতি থাকে তুঙ্গে। এমনকি কুম্ভ রাশির সঙ্গে সম্পর্ক গড়া যেতে পারে।
কুম্ভ : এ জাতকের জন্য সবচেয়ে ভালো বন্ধু পাওয়া যাবে মকর রাশির জাতক/জাতিকা থেকে। কুম্ভ ও মকরের সমন্বয়ে দাম্পত্য এগিয়ে যায় অনেকদূর। পাড়ি দিতে পারে অনেক বাধা-বিপত্তি। এদের বৃহস্পতি থাকে তুঙ্গে। প্রেম করতে পারে চুটিয়ে। মাঝে মাঝে মিথুন জাতক/জাতিকার জন্য জীবন হতে পারে বিষাদময়।
মীন : এ জাতকের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারে বৃশ্চিক রাশির। মীন ও বৃশ্চিকের সমন্বয়ে শনির দশা কেটে যেতে পারে। এগিয়ে যাওয়া যায় সমৃদ্ধির সঙ্গে। পাশাপাশি মকরের সঙ্গে সম্পর্ক করা যেতে পারে। নিজ রাশির কারও সঙ্গেও সুসম্পর্ক হতে পারে।
বিঃ দ্রঃ এই পোস্ট দাতা কোন জ্যোতিষী নন। পোস্ট টা সংগ্রহ করে দেয়া হয়েছে।
২য় বিভাগ - আপনার রাশির সঙ্গি রাশি।
১ম বিভাগ - রাশি বৈশিষ্ট্য -
১। মেষরাশি (Aries)
মেষরাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত স্বতঃস্ফূর্ত ও লক্ষ্য নির্ধারিত হয়ে থাকে। তারা খুব অল্পতেই রেগে যায়। তবে তারা যে কোন বিষয় খুব দ্রত বুঝতে পারে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারে। তাদের আচারণ বেশ বন্ধুত্তপূর্ণ।
২। বৃষরাশি (Taurus)
বৃষরাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত ধৈর্যশীল ও বিশ্বাসী হয়ে থাকে। তারা অল্পতে রেগে গেলেও আবার খুব তাড়াতাড়ি রাগ সামলে নিতে পারে। এরা অনেকটা জেদি ও অবুঝ হলেও আবার বেশ রোমান্টিক হয়ে থাকে।
৩। মিথুনরাশি (Gemini)
মিথুনরাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত পরিবর্তন ও সৃজনশীল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তারা অনেকটা বহির্মুখী ও বাঁচাল, কিন্তু সবসময় নির্দিষ্ট লক্ষের পথে চলে।
৪। কর্কটরাশি (Cancer)
কর্কটরাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত শান্ত ও শান্তিপ্রিয়। তারা মানুষের প্রকৃতি খুব সহজেই বুঝতে পারে। তারা অনেকটা ধৈর্যশীল ও আবেগপ্রবণ, তবে তারা নিজেদের আবেগকে আড়াল করতেও সক্ষম।
৫। সিংহরাশি (Leo)
সিংহরাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত স্বহৃদয়বান হয় এবং সব সময় ন্যায় ও নীতির পথে চলে। তারা সৎ চরিত্রের মানুষ হয় ও তাদের ভিতর নেতৃত্ব দানের গুণাবলী লক্ষ্য করা যায়।
৬। কন্যারাশি (Virgo)
কন্যারাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত চাপা স্বভাবের এবং প্রতিটি ছোট ছোট ব্যাপারেই সতর্কতা অবলম্বন করে থাকে ও কোন কাজে ঝুঁকি নিতে চায় না। এরা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও যে কোন কাজ ভাল ভাবে সংগঠিত করতে পারে।
৭। তুলারাশি (Libra)
তুলারাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত প্রকৃতিগত ভাবেই ভারসাম্যপূর্ণ এবং চিন্তাশীল। তারা পুরো পৃথিবীটাকেই নিজের পরিবার মনে করে এবং সবসময় ভাল কাজ করার কথা চিন্তা করে। এরা নিজের আবেগকে মানুষের মাঝে সহজে প্রকাশ করে না।
৮। বৃশ্চিকরাশি (Scorpio)
বৃশ্চিকরাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত অনেক বুদ্ধিমান/বুদ্ধিমতী ও স্থির প্রকৃতির হয়ে থাকে। এদের জীবন অনেক নাটকীয় এবং উজ্জ্বল। সাধারণত মনে করা হয় এদের জন্ম হয়ে জয় করা বা লক্ষে পৌঁছানর জন্য।
৯। ধনুরাশি (Sagittarius)
ধনুরাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত পছন্দ করে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে ও ঝুঁকি নিতে। তারা অনেক প্রাণবন্ত এবং বাস্তব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পছন্দ করে। এরা কিছুটা অহংকারী হয় ও দার্শনিক প্রকৃতির হয়ে থাকে।
১০। মকররাশি (Capricorn)
মকররাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত কঠোর পরিশ্রমী হয়ে থাকে। এরা কোন বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে অনেক বেশি সময় অপচয় করে থাকে। এরা সব সময় নিজের স্বার্থের দিকে বিশেষ নজর দিয়ে থাকে এবং প্রয়জনে কোন কাজ সম্পাদন করতে ছলনার আশ্রয়ও নিয়ে থাকে।
১১। কুম্ভরাশি (Aquarius)
কুম্ভরাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত বিশ্বাসী হয়ে থাকে এবং সত্যের পথে আস্থাশীল। এদের ভিতর অনেকটা বুদ্ধিজীবী ও দার্শনিকের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়।
১২। মীনরাশি (Pisces)
মীনরাশির জাতক বা জাতিকা সাধারণত বন্ধুসুলভ হয়ে থাকে, এরা খুব সহজেই বন্ধুত্তের হাত বাড়িয়ে দেয় এবং অনেক যত্নবান হয়ে থাকে যে কোন বিষয়ে। এরা যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম।
২য় বিভাগ - আপনার রাশির সঙ্গি রাশি -
মেষ : মেষ জাতক/জাতিকার সঙ্গে আরেক মেষ জাতক/জাতিকার ভালোবাসার সম্পর্ক সহজেই গড়ে ওঠে না। ভালোবাসার জন্য এদের সিংহ ও ধনু জাতককে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। মেষ ও সিংহের সমন্বয়ে রসায়ন হয় শুভ। শেষ পর্যন্ত তা গড়াতে পারে বিবাহবন্ধনে।
বৃষ : এ জাতক/জাতিকার জন্য ভালোবাসার মানুষ পাওয়া যাবে কন্যা রাশির জাতক/জাতিকা থেকে। অনেক ক্ষেত্রেই বৃষ নারীর ভালোবাসা সুপ্রসন্ন হতে পারে নিজের রাশির কাউকে বিয়ে করার পর। বৃষ ও কন্যার সমন্বয়ে যে ভালোবাসা প্রস্ফুটিত হয় সেটি অনেকদূর পর্যন্ত যেতে পারে। পাড়ি দিতে পারে অনেক বাধা-বিঘ্ন।
মিথুন : এ জাতক/জাতিকার সঙ্গে তুলা ও সিংহ রাশির কারও সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হতে পারে। এ জাতকের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারে মেষ জাতিকা। আবার অনেক সময় এ জাতিকার সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারে কর্কট জাতকের। মিথুন ও সিংহের সমন্বয়ে ভালোবাসার ঘর হতে পারে দৃঢ়। এদের প্রধান শত্রু হতে পারে কুম্ভ জাতক/জাতিকা।
কর্কট : এ জাতকের ভালো বন্ধু হতে পারে কন্যা রাশির জাতক। জীবনসঙ্গী হিসেবে কন্যা রাশিকে অগ্রাধিকার দিতে পারেন। কন্যা রাশির জাতিকা আপনার জীবনকে অনেকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। কন্যা রাশির জাতিকা পাওয়ার জন্য অনেক বাধা-বিঘ্ন পেরুতে হবে। বিশেষ করে সিংহ জাতক/জাতিকা আপনার ভালোবাসার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাছাড়া কুম্ভ রাশির সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে তোলা যেতে পারে।
সিংহ : মেষ রাশির যে কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়া যেতে পারে। সিংহ জাতিকার সবচেয়ে ভালো বন্ধু পাওয়া যাবে মিথুন ও ধনু রাশিতে। বিশেষ করে কন্যা রাশির জাতক/জাতিকাদের এড়িয়ে যাওয়া ভালো। কন্যা রাশির সঙ্গে দাম্পত্য শুরু করলেও ভবিষ্যৎ নিয়ে থাকতে হবে অনিশ্চিত। বাধা আসবে পারিবারিকভাবে।
কন্যা : এ জাতকের আদর্শ বন্ধু ও জীবনসঙ্গী হতে পারে কর্কট জাতক থেকে। এছাড়া মকরের সঙ্গেও সুসম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। এ জাতকের সবচেয়ে বড় শত্রু হবে সিংহ জাতক বা জাতিকা থেকে। কর্কট জাতকের সঙ্গে ভালোবাসার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে সিংহ জাতক/জাতিকা।
তুলা : এ জাতকের জন্য ভালো বন্ধু হতে পারে মিথুন জাতিকার কেউ। এছাড়া নিজ রাশির সঙ্গেও ভালো বনিবনা হতে পারে। তবে বৃশ্চিকের সঙ্গে ভালোবাসর সম্পর্ক গড়া ঠিক হবে না। কারণ তুলা ও বৃশ্চিকের সমন্বয়ের ভালোবাসার ঘর হবে ক্ষণস্থায়ী। মুখোমুখি হতে হবে অনেক সমস্যার।
বৃশ্চিক : এ জাতকের সঙ্গে ধনু, মকর ও মীন জাতকের সম্পর্ক হতে পারে। নিজ রাশির জাতক-জাতিকার সঙ্গে সম্পর্ক হলে তা ক্ষণস্থায়ী হতে পারে। বিয়ের ক্ষেত্রে কর্কট জাতক/জাতিকাকে এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ কর্কট ও বৃশ্চিকের সমন্বয়ে দাম্পত্য বেশিদিন স্থায়ী হয় না। বিশেষ করে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকবে।
ধনু : এ জাতক বা জাতিকার সঙ্গে মেষ ও মকরের ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। ধনু জাতক বা জাতিকাকে এড়িয়ে চলুন। পাশাপাশি বৃশ্চিক, মকর ও মীন রাশির কাউকে প্রধান্য দেওয়া যেতে পারে। এ জাতকের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারে মেষ রাশির জাতকের সঙ্গে। মেষ ও ধনুর সমন্বয়ে ভালোবাসার সম্পর্ক এগিয়ে যায় অনেকদূর।
মকর : এ জাতকের সঙ্গে নিজ জাতকের বন্ধুত্ব স্থায়ী হয় না। কন্যা, ধনু ও মীন জাতকের মধ্যে থেকে বন্ধু খুঁজে নেওয়া ভালো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তুলা রাশির সঙ্গেও সম্পর্ক করা যেতে পারে। কারণ তুলা ও মকরের সমন্বয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার বৃহস্পতি থাকে তুঙ্গে। এমনকি কুম্ভ রাশির সঙ্গে সম্পর্ক গড়া যেতে পারে।
কুম্ভ : এ জাতকের জন্য সবচেয়ে ভালো বন্ধু পাওয়া যাবে মকর রাশির জাতক/জাতিকা থেকে। কুম্ভ ও মকরের সমন্বয়ে দাম্পত্য এগিয়ে যায় অনেকদূর। পাড়ি দিতে পারে অনেক বাধা-বিপত্তি। এদের বৃহস্পতি থাকে তুঙ্গে। প্রেম করতে পারে চুটিয়ে। মাঝে মাঝে মিথুন জাতক/জাতিকার জন্য জীবন হতে পারে বিষাদময়।
মীন : এ জাতকের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারে বৃশ্চিক রাশির। মীন ও বৃশ্চিকের সমন্বয়ে শনির দশা কেটে যেতে পারে। এগিয়ে যাওয়া যায় সমৃদ্ধির সঙ্গে। পাশাপাশি মকরের সঙ্গে সম্পর্ক করা যেতে পারে। নিজ রাশির কারও সঙ্গেও সুসম্পর্ক হতে পারে।
বিঃ দ্রঃ এই পোস্ট দাতা কোন জ্যোতিষী নন। পোস্ট টা সংগ্রহ করে দেয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment