উদ্দেশ্য- "সন্দ্বীপ" এ আমার মামা'র বাড়ি। ছোটবেলায় প্রতি বছর একবার করে আমরা সপরিবারে "সন্দ্বীপ" যেতাম। তবে এখন আর সেভাবে ইচ্ছে থাকলেও যাওয়া হয় না। এবার আমি "সন্দ্বীপ" গেলাম প্রায় ৪ বছর পর।
গমনের তারিখ - গত ১৪/১০/২০১৩।
গমনের মাধ্যম - বাস + রিক্সা + স্পীড বোট + ট্যাক্সি + রিক্সা।
গমন কাহিনী - ১৪/১০/২০১৩ তারিখ ভোর ৫ টায় "কুমিরা"র পথে বাসে উঠি। এরপর রিক্সায় করে "কুমিরা-সন্দ্বীপ" ফেরী ঘাটে পৌঁছে যাই। ফেরী ঘাটে পৌঁছে পূর্ব নির্ধারিতভাবেই দেখা হয় মামাতো ভাই "জিকু" ও তার বন্ধু "কনক" এর সাথে। তিন জন মিলে উঠে যাই স্পীড বোট এ। মাত্র ২৫-৩০ মিনিটেই সাগর পাড়ি দিয়ে পৌঁছে যাই "সন্দ্বীপ" এর "গুপ্তছড়া" ঘাটে। সেখান থেকে টু-স্ট্রোক ট্যাক্সি করে বর্তমান সন্দ্বীপ শহর "কমপ্লেক্স" এ গিয়ে রিক্সা নিয়ে সোজা মামার বাড়ি।
১৪/১০/২০১৩ থেকে ১৬/১০/২০১৩ - এই তিন দিনের অবস্থানকালীন সময়ে চমৎকার সময় কাটিয়েছি। আমরা চার জন ছিলাম প্রায় সার্বক্ষণিক সঙ্গী- আমি, জিকু, রিকু এবং কনক দা। প্রথম দু'দিন সন্ধ্যা থেকে রাত প্রায় ৮ তা পর্যন্ত আমরা অবস্থান করেছিলাম সেই বিখ্যাত সন্দ্বীপ সাগর পাড়ে। সোনায় সোহাগা হিসেবে পেয়ে গিয়েছিলাম আগত পূর্ণিমার উজ্জ্বল জোসনা। সাগর পাড়ে বসে এভাবে চাঁদের আলো ভক্ষন করার এই অভিজ্ঞতা বলে বুঝানো যাবে না। তাছাড়া "অমর দাদা"র দোকানে প্রতিদিন প্রায় ৫-৬ বার যাওয়া হত। ১৬/১০/২০১৩ তারিখ সকালে দেখতে গিয়েছিলাম মামার বাড়ির খুব কাছের সুইচ গেটটি। ১৬/১০/২০১৩ তারিখ বিকেলে মামাতো ভাই রিকুর বন্ধু "সোহেল" এর সাথে ঘুরতে গিয়েছিলাম "আমানুল্লাহ" নামক স্থানে এবং সেখানে বন্ধু "মুন্না"র উষ্ণ অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়েছিলাম।
ফেরতের তারিখ - গত ১৭/১০/২০১৩।
ফেরতের মাধ্যম - সাইকেল + ট্যাক্সি + স্পীড বোট + রিক্সা + বাস।
ফেরতের কাহিনী -যে পথে গমন সে পথেই আগমন। শুধু মামার বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ শহর "কমপ্লেক্স" এ রিক্সার বদলে রিকুর সাইকেলের পেছনে চড়ে এসেছিলাম।
আসল প্রাপ্তি - এবারের এই সন্দ্বীপ ভ্রমন থেকে অনেক আনন্দ ও অনেক ফিলিংস পেয়েছি। তবে সে সব ছাড়িয়ে আসল প্রাপ্তি ছিল মামা বাড়ির সেই সাচ্চা আদর ও আন্তরিকতা।
No comments:
Post a Comment