আমার এম. এ. পরীক্ষার ঠিক পর পরই আমি চাকরীতে যোগদান করি। আমি যোগদান করি একটি বেসরকারি উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান এ, যাকে সাধারণভাবে আমরা এন. জি. ও. নামে জানি। আমার প্রথম পোস্টিং ছিল চট্রগ্রাম এ, এরপর আমি কাজ করি রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায়। গত জুলাই মাস থেকে আমি একই প্রতিষ্ঠানের ফেনী এরিয়াতে কাজ করছি। আমার বাড়ি থেকে ফেনী কাছে হওয়ায় প্রায়শঃ এলাকায় অবস্থান করি। এলাকার লোকজনের সাথে দেখা হয়, কথা হয়।
যখন চট্রগ্রাম ও নওগাঁয় কাজ করতাম তখন এবং এখনও যখন কোন অপরিচিতের সাথে প্রথম পরিচয় হয় এবং কথায় কথায় যখন আমি তাকে জানাই যে আমি একটা এন. জি. ও. তে কাজ করি, লক্ষ্য করি তিনি আমার প্রতি তার গুরুত্ব টা কমিয়ে ফেলেন। কেউ কেউ আবার একটু তেড়া করে অবজ্ঞার হাসি হাসেন।
এলাকাতে আসার পর অনেক মুরুব্বীদের সাথে মাঝে মাঝে দেখা হয়ে যাচ্ছে। অনেক দিন পর আমাকে দেখার পর উনারা হাসি মুখে জানতে চান, কেমন আছ? কি কর তুমি এখন? যখন আমার উত্তর টা হয়, আমি একটা এন. জি. ও. তে কাজ করি, খেয়াল করি তখনই উনাদের মুখ থেকে হাসিটা কোথায় যেন উড়ে যায়। ম্লান মুখে বলেন, বাবা এতো লেখাপড়া করলা, একটা ভাল চাকরী বাকরি করবা। এন. জি. ও., টেন. জি. ও. এগুলো চাকরী হল? এগুলোর কোন future আছে? কেউ কেউ আবার আরেকটু বিজ্ঞতা দেখিয়ে বলে ফেলেন, দেখ কখন ফুটে টুটে যায়।
আবার যখন এলাকার বড় ভাইদের সাথে দেখা হয় এবং উনারাও যখন জানতে পারেন আমি একটা এন. জি. ও. তে কাজ করি, উনারা পরামর্শ দেন যে বয়স থাকলে যাতে সরকারী চাকুরীর চেষ্টা করি। বেতন কম হলেও সমস্যা নাই। কেউ কেউ আবার পরামর্শ দেন, তোমার বাবাতো শিক্ষকতা করেন, পারলে কোন স্কুল তিস্কুল এ ঢুকে যাও।
এখানে আমি এন. জি. ও.-র ভাল দিক বা খারাপ দিক নিয়ে কিছু বলছি না। বলছি আমার নিজের কথা। আমি একটি এন. জি. ও. তে চাকরী করি। পরীক্ষা দিয়ে পাস করে তারপর আমি এ চাকরী পেয়েছি। কোন মামা/চাচা ধরে বা ঘুষ দিয়ে আমি এ চাকরী পাইনি। এখানে আমি কঠোর পরিশ্রম করি। পরিশ্রমের বিনিময়ে আমি বেতন নেই। এখানে আমার কোন উপরি আয়ের সুযোগ নেই। প্রতি পদে পদে আমাকে জবাবদিহি করতে হয়। ভাল কাজের জন্য আমি প্রশংসিত হই আবার ভুল কাজের জন্য আমাকে নির্ধারিত শাস্তি মাথা পেতে নিতে হয়।
এমনকি এন. জি. ও. চাকুরীর স্থলে আজ যদি আমি জানাতে পারতাম আমি এমন একটি জায়গায় চাকুরী করি যেখানে অনেক উপরি আয় আছে, তেমন পরিশ্রম করতে হয় না তাহলে আজ আমার যে সদ্য পরিচিত বা এলাকার মুরুব্বী বা বড় ভাইরা এন. জি. ও. তে চাকরী করি শুনে পরোক্ষ ভাবে আমার প্রতি নাক সিটকান তারাই আমাকে যথেষ্ট উৎসাহ দিতেন, আমাকে নিয়ে গর্ব করতেন, চারদিকে আমার নাম প্রচার করতেন।
আমি গর্ব করি কারন আমি চোর না, আমি যা উপার্জন করি তা সৎ পথে উপার্জন করি। ডাল ভাত যা খাই তা হালাল খাই।
আর যারা ঘুষ খায়, দুর্নীতি করে তাদের ঘৃণা করি মন থেকে।
যখন চট্রগ্রাম ও নওগাঁয় কাজ করতাম তখন এবং এখনও যখন কোন অপরিচিতের সাথে প্রথম পরিচয় হয় এবং কথায় কথায় যখন আমি তাকে জানাই যে আমি একটা এন. জি. ও. তে কাজ করি, লক্ষ্য করি তিনি আমার প্রতি তার গুরুত্ব টা কমিয়ে ফেলেন। কেউ কেউ আবার একটু তেড়া করে অবজ্ঞার হাসি হাসেন।
এলাকাতে আসার পর অনেক মুরুব্বীদের সাথে মাঝে মাঝে দেখা হয়ে যাচ্ছে। অনেক দিন পর আমাকে দেখার পর উনারা হাসি মুখে জানতে চান, কেমন আছ? কি কর তুমি এখন? যখন আমার উত্তর টা হয়, আমি একটা এন. জি. ও. তে কাজ করি, খেয়াল করি তখনই উনাদের মুখ থেকে হাসিটা কোথায় যেন উড়ে যায়। ম্লান মুখে বলেন, বাবা এতো লেখাপড়া করলা, একটা ভাল চাকরী বাকরি করবা। এন. জি. ও., টেন. জি. ও. এগুলো চাকরী হল? এগুলোর কোন future আছে? কেউ কেউ আবার আরেকটু বিজ্ঞতা দেখিয়ে বলে ফেলেন, দেখ কখন ফুটে টুটে যায়।
আবার যখন এলাকার বড় ভাইদের সাথে দেখা হয় এবং উনারাও যখন জানতে পারেন আমি একটা এন. জি. ও. তে কাজ করি, উনারা পরামর্শ দেন যে বয়স থাকলে যাতে সরকারী চাকুরীর চেষ্টা করি। বেতন কম হলেও সমস্যা নাই। কেউ কেউ আবার পরামর্শ দেন, তোমার বাবাতো শিক্ষকতা করেন, পারলে কোন স্কুল তিস্কুল এ ঢুকে যাও।
এখানে আমি এন. জি. ও.-র ভাল দিক বা খারাপ দিক নিয়ে কিছু বলছি না। বলছি আমার নিজের কথা। আমি একটি এন. জি. ও. তে চাকরী করি। পরীক্ষা দিয়ে পাস করে তারপর আমি এ চাকরী পেয়েছি। কোন মামা/চাচা ধরে বা ঘুষ দিয়ে আমি এ চাকরী পাইনি। এখানে আমি কঠোর পরিশ্রম করি। পরিশ্রমের বিনিময়ে আমি বেতন নেই। এখানে আমার কোন উপরি আয়ের সুযোগ নেই। প্রতি পদে পদে আমাকে জবাবদিহি করতে হয়। ভাল কাজের জন্য আমি প্রশংসিত হই আবার ভুল কাজের জন্য আমাকে নির্ধারিত শাস্তি মাথা পেতে নিতে হয়।
এমনকি এন. জি. ও. চাকুরীর স্থলে আজ যদি আমি জানাতে পারতাম আমি এমন একটি জায়গায় চাকুরী করি যেখানে অনেক উপরি আয় আছে, তেমন পরিশ্রম করতে হয় না তাহলে আজ আমার যে সদ্য পরিচিত বা এলাকার মুরুব্বী বা বড় ভাইরা এন. জি. ও. তে চাকরী করি শুনে পরোক্ষ ভাবে আমার প্রতি নাক সিটকান তারাই আমাকে যথেষ্ট উৎসাহ দিতেন, আমাকে নিয়ে গর্ব করতেন, চারদিকে আমার নাম প্রচার করতেন।
আমি গর্ব করি কারন আমি চোর না, আমি যা উপার্জন করি তা সৎ পথে উপার্জন করি। ডাল ভাত যা খাই তা হালাল খাই।
আর যারা ঘুষ খায়, দুর্নীতি করে তাদের ঘৃণা করি মন থেকে।
No comments:
Post a Comment