রুনাদের বাড়ি মিঠাছড়া। ওরা দুবোন, এক ভাই। রুনা সবার বড়। রুনার বাবা দীর্ঘদিন বিদেশ ছিলেন। বিদেশ থেকে একেবারে চলে আসার পর তিনি ঠিক করলেন গ্রামে আর থাকবেন না। তাই মিরসরাই উপজেলা সদরে বাসা ভাড়া নিলেন। মিরসরাই তে যখন আসলেন তখন রুনা ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।
রুনাদের বাসা আমাদের বাসার পাশেই ছিল। সুন্দর, চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে ছিল রুনা। রুনাদের পরিবার খুব রক্ষণশীল, বিশেষ করে তার বাবা কোনভাবেই পর্দা বেতিত ঘরের মহিলাদের বাইরে যাওয়া পছন্দ করতেন না। রুনার মায়ের চেহারা এখনো আমি কোনদিন দেখি নি। রুনা তার বাবা ঘরে থাকা অবস্থায় কোনভাবেই বাইরে বের হত না। বাবা বাসায় না থাকলে মাঝে মাঝে বেরুত। তখন তাকে দেখতাম। রুনা মিরসরাই বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল এবং যথারীতি স্কুল এ যাওয়ার সময় এবং আসার সময় কাল বোরকা পড়ত।
এভাবেই চলে যাচ্ছিল।
রুনা তখন ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। একদিন বিকেল বেলা রুনার বাবা আমাদের বাসায় আসলেন। আমাদের রুনার বিয়ের দাওয়াত দিলেন। আমার বাবার সাথে তিনি কথা বলছিলেন। জানালেন, মেয়ে সেয়ানা হয়ে গেছে তাই বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন। বললেন, যা দিন কাল পড়েছে, কখন কি করে ফেলে, মানে মানে তাই বিয়ে দিয়ে দিতে পারলেই তিনি বাঁচেন। তার ভাষ্য থেকে আরও জানা গেল, ছেলের বয়স খুব বেশি না, ২৫-২৬ হবে, ছেলে বিদেশ থাকে, ৪ মাসের জন্য এসেছে, বিয়ে করে আবার চলে যাবে।
ঘটা করে হয়ে গেল রুনার বিয়ে। বিয়ের পর রুনার জামাই ২ মাস থেকে আবার বিদেশ চলে গেল। রুনা মাঝে মাঝে বেড়াতে আসতো তার বাবার বাসায়। কিন্তু বিয়ের পর আমি আর কখনো তার মুখ দেখিনি। বছর খানেক পর বাসায় মিষ্টি আসল। রুনার বাচ্চা হয়েছে।
গত কিছু দিন আগে শুনলাম রুনার নাকি ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। সে এখন তার বাবার বাসায় থাকে, যদিও একবারের জন্যও এখনো আমি তাকে দেখিনি। ছাড়াছাড়ির কারন খুঁজতে গিয়ে লোকমুখে শুনলাম রুনার স্বামী ও শ্বশুর/ শাশুড়ি রুনাকে সন্দেহ করছে যে স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগে সে নাকি ফোনে অন্য কারো সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। অন্য দিকে রুনার পরিবারের অভিযোগ রুনার শ্বশুর বাড়ির লোকজন কোন কারন ছাড়াই রুনার উপর অত্যাচার করে।
বিষয় টা শুনার পর মনে একটু কষ্ট অনুভব করেছি। সেই সুন্দর, চঞ্চল মেয়েটা এখন স্বামী, সন্তান, শ্বশুরবাড়ি হারিয়ে ঘরের কোনে অন্ধকারে দিনাতিপাত করছে। এর দায় কে নেবে ?
--------------------------------------------------------------------------
এ ধরনের আরও লেখা পড়তে নিচের লিংক এ ক্লিক করুন -
আমার লেখা গল্প ও ক্যাচাল
রুনাদের বাসা আমাদের বাসার পাশেই ছিল। সুন্দর, চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে ছিল রুনা। রুনাদের পরিবার খুব রক্ষণশীল, বিশেষ করে তার বাবা কোনভাবেই পর্দা বেতিত ঘরের মহিলাদের বাইরে যাওয়া পছন্দ করতেন না। রুনার মায়ের চেহারা এখনো আমি কোনদিন দেখি নি। রুনা তার বাবা ঘরে থাকা অবস্থায় কোনভাবেই বাইরে বের হত না। বাবা বাসায় না থাকলে মাঝে মাঝে বেরুত। তখন তাকে দেখতাম। রুনা মিরসরাই বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল এবং যথারীতি স্কুল এ যাওয়ার সময় এবং আসার সময় কাল বোরকা পড়ত।
এভাবেই চলে যাচ্ছিল।
রুনা তখন ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। একদিন বিকেল বেলা রুনার বাবা আমাদের বাসায় আসলেন। আমাদের রুনার বিয়ের দাওয়াত দিলেন। আমার বাবার সাথে তিনি কথা বলছিলেন। জানালেন, মেয়ে সেয়ানা হয়ে গেছে তাই বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন। বললেন, যা দিন কাল পড়েছে, কখন কি করে ফেলে, মানে মানে তাই বিয়ে দিয়ে দিতে পারলেই তিনি বাঁচেন। তার ভাষ্য থেকে আরও জানা গেল, ছেলের বয়স খুব বেশি না, ২৫-২৬ হবে, ছেলে বিদেশ থাকে, ৪ মাসের জন্য এসেছে, বিয়ে করে আবার চলে যাবে।
ঘটা করে হয়ে গেল রুনার বিয়ে। বিয়ের পর রুনার জামাই ২ মাস থেকে আবার বিদেশ চলে গেল। রুনা মাঝে মাঝে বেড়াতে আসতো তার বাবার বাসায়। কিন্তু বিয়ের পর আমি আর কখনো তার মুখ দেখিনি। বছর খানেক পর বাসায় মিষ্টি আসল। রুনার বাচ্চা হয়েছে।
গত কিছু দিন আগে শুনলাম রুনার নাকি ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। সে এখন তার বাবার বাসায় থাকে, যদিও একবারের জন্যও এখনো আমি তাকে দেখিনি। ছাড়াছাড়ির কারন খুঁজতে গিয়ে লোকমুখে শুনলাম রুনার স্বামী ও শ্বশুর/ শাশুড়ি রুনাকে সন্দেহ করছে যে স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগে সে নাকি ফোনে অন্য কারো সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। অন্য দিকে রুনার পরিবারের অভিযোগ রুনার শ্বশুর বাড়ির লোকজন কোন কারন ছাড়াই রুনার উপর অত্যাচার করে।
বিষয় টা শুনার পর মনে একটু কষ্ট অনুভব করেছি। সেই সুন্দর, চঞ্চল মেয়েটা এখন স্বামী, সন্তান, শ্বশুরবাড়ি হারিয়ে ঘরের কোনে অন্ধকারে দিনাতিপাত করছে। এর দায় কে নেবে ?
--------------------------------------------------------------------------
এ ধরনের আরও লেখা পড়তে নিচের লিংক এ ক্লিক করুন -
আমার লেখা গল্প ও ক্যাচাল
No comments:
Post a Comment