সহাস্য বদনে সবুজ প্রবেশ করলো হলুদের দফতরে
লম্বা সেলামে বিগলিত হলুদ বসাল তারে সম্মুখের আসনে।
বুঝলেন সবুজ সাব,
মাঠে ঘাস চাষে উনারা করছে আবদার।
না স্যার, না স্যার। করবেন না এমন ভুল
চীনা জোঁকে রক্ত চুষবে, ভীমরুল ফোটাবে হুল।
মুখে হাত দিয়ে হলুদ সাব ধরলো বিজ্ঞ ভাব
সবুজ সাব পাশে না থাকলে কে ঘুছাতো এমন অপবাদ!
সবাই শুধু ঘাস ঘাস ভাবলো, গরুর মতো ভাবনা
চীনা জোঁক আর ভীমরুলের কথা কারো মাথায় আসলো না!
আসবে কি করে? জোঁক, ভীমরুল সেতো শুধুই একজন-
হ্যাঁ, তিনি সবুজ সাব। মিঠা কথায় চুষে চুষে তৈরি করে স্বজন।
তারা এসেছিল, হলুদ সাব বলে, তারা বসার জায়গা চায়
আমি বলে দিয়েছি অস্থায়ী বন্দোবস্ত, স্থায়ী সুবিধা নাই।
আসল কথা বলি নাই তাদের, রেখে দিয়েছি ফাঁক
সবুজ সাব, আপনার পরামর্শ ছাড়া আমি চলি কি এক হাত?
স্যার, করেতো ফেলেছেন ভুল
খাল কেটে কুমির আনছেন, দিতে হবে মাশুল।
এখন আপনি রাজা, আমি মন্ত্রী; উজির-নাজির নাই
যা বলি তা হয় আইন, বিনা মেঘে সুখ যে তরী বায়।
যখন আসবে তারা জানবে সারা, আর কি হবে রক্ষে?
উল্টো বাতাস বইবে পালে, পকেট নাহি ভরবে।
সবুজ সাবের কথায় আবার মুখে গেল হাত
বিজ্ঞ হলুদ ভেবে আকুল, সবুজ সাব না থাকলে কি যে হতো তার।
এতো বড় মাঠের কি দরকার? বদমায়েশের দল খেলে খেলে
দরজা জানালা সব ভেঙে করছে ছারখার, সবুজ সাব কয়।
সত্যি বলেছেন আমিও ভাবছি তা, সরকারের দোহাই দিয়ে
গাছ লাগিয়ে দখল নিলে যদি তাদের শিক্ষা হয়।
মাঠের কোন দরকার নেই, খেলাধুলায় কি হয়?
জ্ঞানের চাষ করবো আমরা, এতেই ভালো ব্যবসা হয়।
এমন হাজার সবুজ- হলুদ 'সাব' সেজে আমাদের মাঝে
ভাবের রাজ্যে ভাবনা ভেবে প্যারাসিটামলে ক্যান্সার রোধ করে!
তাদের মুখে উপদেশ বাণী, বুকে সমাজ গড়ার প্রত্যয়!
জেনে রেখো সব প্রহসন, শুধু লভ্যাংশের ভাবনাটা অক্ষয়।
তবুও সমাজ রয়েছে বেঁচে আপন মহিমাগুনে,
ঈশ্বর তোমাদের করবেন বিচার, হে অমানুষের দল; রেখো জেনে।
No comments:
Post a Comment