Wednesday, December 28, 2016

ও আমার প্রিয়তমা

ও আমার প্রিয়তমা, তুমি আমার ভালবাসা। আমি অনেক ভালবাসি তোমাকে। জানি, তুমিও অনেক ভালবাস আমাকে। অনেক সাধনা, অনেক অপেক্ষার ফল তুমি আমার। আমার জীবনের যা কিছু ভাল আমি পেয়েছি তার সবটুকুই তুমি। তুমি আমার তরী, তুমি আমার তীর, তুমিই আমার একমাত্র সহায় এই পৃথিবীর। 

প্রিয়তমা, প্রথম যেদিন দেখেছিলাম তোমাকে, অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম তোমার পানে। তোমার সেই নিস্পাপ মুখ, সরল চাহনি, সাদা-মাটা উপস্থিতি এক নিমিষেই মুগ্ধ করে দিয়েছিল আমাকে। এ যুগে এমন অবয়ব, তা ছিল আমার কল্পনার বাহিরে। যেভাবে দেখেছিলাম, প্রথম সেদিন তোমাকে, সেভাবেই চাই তোমাকে আমি আজীবন। প্রিয়তমা, আমি চালাক তোমাকে চাই না, আমি আধুনিকা তোমাকে চাই না। প্লিজ, তুমি তেমনই থাক, যেভাবে প্রথম দিন আমি দেখেছিলাম তোমাকে। 

প্রিয়তমা, প্রথম প্রথম তোমার সাথে যখন ফোনে কথা হত; সোজাসাপ্টা কথা বলতে তুমি। অনায়াসে তুমি স্বীকার করতে তোমার দৈন্যতা। কি অপূর্ব! তোমার সীমাবদ্ধতা, যখন তুমি আমায় বলতে, আমার কাছে মনে হত, যেন এসব তোমার সীমাবদ্ধতা নয় বরং তোমার অলংকার। একটি কথাই শুধু তোমায় বলতাম, সব কিছু আমার সাথে শেয়ার করবে; সমাধান করতে পারব কিনা জানি না তবে অন্তত তোমার চাপা দীর্ঘশ্বাস এর ভাগিদার হতে পারব। আরও বলতাম, মনে রাখবে এখন থেকে আমিই তোমার এই পৃথিবীর সবচেয়ে আপনজন। প্রিয়তমা, এখনো আমি মানি এবং বিশ্বাস করি, আমিই তোমার এই পৃথিবীর সবচেয়ে আপনজন। প্লিজ, তুমি আমায় পর করে দিওনা। 

প্রিয়তমা, আমি জানি, তুমি অনেক অভিমানী। অভিমান তুমি শখ করে কর না বরং তুমি অভিমানে অভ্যস্ত। পরিনয়ের পর তুমি যখন আমার সাথে অভিমান করতে, খুব মিষ্টি লাগত। অভিমান ছাড়া কি ভালবাসা পূর্ণতা পায়? তুমি যখন অভিমান করতে আমি সহজেই বুঝতে পারতাম। নিশ্চুপ হয়ে যেতে তুমি। কি হয়েছে জানতে চাইলে তোমার টানা টানা চোখ দুটি বেয়ে গড়িয়ে পড়ত লোনা গঙ্গাজল। প্রিয়তমা, আমি আজও তোমার চোখের জল আমার সোহাগী হাতে মুছে দিতে চাই। প্লিজ, তুমি তোমার চোখের জল শুকিয়ে ফেল না। 

প্রিয়তমা, প্রথম যেদিন আমার মায়ের সাথে তোমাকে ফোনে কথা বলিয়ে দিয়েছিলাম, তুমি অনেক অধিকার খাটিয়ে, অনেক আবদারের সুরে, অনেক বড় বড় করে আমার মাকে 'মা' 'মা' বলে ডেকেছিলে। তোমার মা ডাক এতটাই স্বতঃস্ফূর্ত ছিল, এতটাই বড় ছিল, মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে আমি সে ডাক শুনতে পাচ্ছিলাম এবং আমার মায়ের মুখের কোনে ভেসে উঠা সে মিষ্টি হাসি দেখছিলাম। প্রিয়তমা, আমি এখনও আমার মায়ের মুখের সে মিষ্টি হাসি দেখতে চাই। প্লিজ, তুমি আমায় বঞ্চিত করো না। 

প্রিয়তমা, তুমি অনেক ভাল গান কর। প্রথম দেখাতেই তোমার গান শুনার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। তখন থেকেই আমি তোমার গানের ভক্ত হয়ে গেছি। অবশ্য এ তোমার জন্য নতুন কিছু নয়। তোমার আছে অগণিত ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী। অনেকবারই গুন গুন করে তুমি আমার অনেক রাতকে বানিয়েছ স্বপ্নিল রাত। প্রিয়তমা, রাতের নিস্তব্ধ আঁধারে প্রতিনিয়ত আমি তোমার সেই গুন গুন এর ভিখারি। প্লিজ, তুমি গুন গুন করা বন্ধ করে দিও না।

প্রিয়তমা, আমি কখনই ভুলতে পারব না তোমার সেই আবেগ মাখা কথা। সেই ক্ষণে তুমি বলেছিলে, আমায় ছাড়া তুমি একদিনও থাকতে পারবে না। জানি না, সেটা কি ছিল। শুধুই আবেগ, নাকি ভালবাসা, নাকি বাস্তবতা। তুমি আমায় ছাড়া আসলেই থাকতে পারবে কিনা তা আমি জানি না। প্রিয়তমা, তবে তোমার মুখে এই আবেগি কথা আমি বার বার শুনতে চাই। প্লিজ, তুমি আবেগ বর্জিত হয়ো না। 

প্রিয়তমা, তুমি বলেছিলে, যেদিন তুমি আমার মনে ব্যথা দিবে, সেদিন যেন তোমার মরন হয়। আমি ব্যথা চাই না। আমি তোমায় চাই। সুখে চাই, দুঃখে চাই, সারাজীবন চাই। প্রিয়তমা, তোমায় ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না। প্লিজ, এমন কথা আর বলো না। 

ও আমার প্রিয়তমা, আমি জানি, আমার অনেক দোষ, আমার অনেক সীমাবদ্ধতা, আমার অনেক অজ্ঞতা। তারপরও আমি আমার আমি, আমি তোমারই আমি। তোমার মাঝে খুঁজি আমি  আমার পৃথিবী। সুখে দুঃখে পাশে থেকে করো আমায় ঋণী। 



Post Comment

No comments:

Post a Comment