মানব জীবন অমূল্য। এই জীবনকে সফল ও স্বার্থক করে তোলার দ্বায়িত্ব শুধুমাত্র তোমার। কেউ তোমার জীবনকে সফল করার দায়িত্ব নেবে না। নেবেইবা কেন? তোমার সম্মুখে আছে অসীম সুযোগ ও সম্ভাবনা। সেই সুযোগ ও সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে তোমাকেই হতে হবে স্মরণীয়, বরণীয়। জীবন গড়ার পথে তুমি সঠিক নির্দেশনা পেতে পার; আবার নাও পেতে পার। তাতে কিছু যায় আসে না। কেউ তা নিয়ে ভাববেও না। দিনান্তে সবাই শুধু এটাই দেখবে, তুমি সফল কিনা। খেলার মাঠে কোন্ দলের ভাল কোচ আছে বা কোন্ দল ভাল দিক নির্দেশনা পেয়েছে তা কেউ বিবেচনা করেনা; বিবেচনা করে কোন্ দলের খেলোয়াড়েরা ভাল খেলে জয়লাভ করতে পেরেছে অর্থাৎ সফল হয়েছে। সুতরাং কথা একটাই। সফল তোমাকে হতেই হবে।
সফলতার পূর্ব শর্ত হচ্ছে সততা ও আন্তরিকতা। তুমি অনেক প্রতিভাবান, তুমি অনেক দক্ষ, সাহসে তুমি বখতিয়ার খিলজি, কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে তুমি অর্জুনের সাথে তুলনীয়; হতে পারে। কিন্তু তুমি ততক্ষণ সফল হতে পারবেনা যতক্ষণ তুমি সৎ ও আন্তরিক হবে না। সততা একটি ব্যাপক বিষয়। আমরা যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সততা বলতে এককভাবে আর্থিক সততাকে বুঝি; আসলে ব্যাপারটা শুধু তা নয়। সততা হল নিজের সাথে, কাজের সাথে, সঙ্গীর সাথে, সমাজের সাথে, দেশের সাথে, সর্বোপরি কারো সাথে কোনরকম প্রতারণা না করা। যে প্রতারক সে সৎ হয় কি করে? তুমি আজ নির্ধারিত একটি ক্লাস করলে না বা বাড়িতে এক বিষয় কম পড়লে বা দেরি করে অফিসে গেলে বা কাউকে কথা দিয়ে রাখলে না বা তোমার উপর অর্পিত দায়িত্বে গাফিলতি করলে বা আমানতের খেয়ানত করলে বা কারো বিশ্বাস ভঙ্গ করলে; তুমি প্রতারক, তুমি অসৎ অর্থাৎ তোমার কাছে সততা নেই। সফলতা তোমার জন্য দিবাস্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়। অন্যদিকে আন্তরিকতা ব্যাপারটা অনেকটাই Attitude বা মনোভাব নির্ভর। তোমার ইতিবাচক মনোভাবই তোমাকে আন্তরিক করে তুলবে। একটা কথা অনেক সময়ই শোনা যায়, Be Positive. তোমাকে ইতিবাচক মনোভাবের অধিকারী হতে হবে। সফলতার বন্ধুর পথে সবকিছু ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করতে হবে। তুমি যদি ইতিবাচক মনোভাবের অধিকারী না হও, কোন কাজেই তুমি আন্তরিক হতে পারবে না; কোন কাজকে তুমি আপন করে নিতে পারবে না। তাই সফলতার পথে আন্তরিকতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তোমরা হয়তো KSA 'র কথা শুনে থাকবে। Knowledge, Skill & Attitude. বলা হয়ে থাকে তোমার যদি জ্ঞান ও দক্ষতায় কিছুটা ঘটতি থেকেও থাকে, ইতিবাচক মনোভাব দিয়ে তুমি তা জয় করতে পারবে কিন্তু তোমার যদি মনোভাবে কোন ঘাটতি থাকে তা শতভাগ জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়েও তুমি কাটিয়ে উঠতে পারবে না।
লক্ষ্য স্থির করে সঠিক পরিকল্পনা প্রনয়ণ সফলতার প্রথম ধাপ। তুমি যদি সঠিকভাবে পরিকল্পনা প্রনয়ণ করতে পার, তোমার কাজ পঞ্চাশ ভাগ শেষ। তুমি কি করবে? কেন করবে? কিভাবে করবে? কার সহযোগিতায় করবে? এই কাজ সম্পাদনে তোমার কি কি প্রয়োজন? প্রয়োজনীয়তা সমূহ তুমি কিভাবে মেটাবে? তোমার শক্তিশালী দিক কি কি আছে? তোমার দূর্বলতাগুলো কি কি? দুর্বলতাগুলো কি কাটিয়ে উঠা সম্ভব? কিভাবে সম্ভব? এসকল বিষয় বিবেচনা করে তোমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তুমি কি আগাবে? তোমার পক্ষে কি আগানো সম্ভব? এই হচ্ছে পরিকল্পনা। পরিকল্পনায় যদি পান থেকে চুন খসে, একটু যদি ভুল করে ফেল; তোমার সকল শ্রমই পণ্ডশ্রম হবে, তোমার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। আধুনিক বিশ্বে SWOT বিবেচনা না করে কোন পরিকল্পনা প্রনয়ণের কথা ভাবাও যায় না। Strength, Weakness, Opportunity, Threat. এককথায়, সঠিক পরিকল্পনা তোমাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে, তোমাকে সফলতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে অনেক দূর।
সততা ও আন্তরিকতা বুকে ধারণ করে পরিকল্পনা প্রনয়ণ করে তুমি যখন সামনের দিকে আগাবে তখন কিছু লোক তোমার পিছু নিবে; আঁকড়ে ধরে রাখতে চাইবে তোমাকে পিছন থেকে। তাদের উদ্দেশ্য একটাই; তারা সফল হতে পারেনি, তুমি কেন সফল হবে? ভুলেও কখনো তাদের পিছনে লাগতে যেও না। কারণ তারা তোমার পেছনে লেগেছে মানে তারা তোমার পেছনেই আছে; তোমাকে ধরার জন্য তোমার পেছন পেছন দৌড়াচ্ছে আর তুমি আছ তাদের সামনে। কোন কারণে ভুল করে তুমি যদি তাদের পেছনে লাগ, তুমি তোমার মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হওয়ার পাশাপাশি তোমার সামনের স্থানটি ছেড়ে দিয়ে অবচেতন মনে তাদের পিছনে গিয়ে দাঁড়াবে। দৃশ্যপট পালটে যাবে, ওরা থাকবে সামনে আর তুমি তাদের পিছু পিছু দৌড়াতে দৌড়াতে একসময় ক্লান্ত হয়ে সব কিছু বিসর্জন দিয়ে পথের ফকির হবে। তাহলে তুমি কি করবে? তুমি সামনে এগিয়ে যাবে, পেছনে কেউ আছে ভেবে আরো সাবধানে সামনের দিকে পা বাড়াবে। কখনো পেছনে ফিরে চাওয়ার দরকার নেই। তারা পেছন থেকে যত দ্রুত দৌড়াবে, তুমি তত দ্রুত সামনের দিকে আগাতে থাকবে। তোমার কাজের গতি বাড়াবে, কাজের ত্রুটি সনাক্ত করে সমাধানের উদ্যোগ নেবে, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেবে এবং কৌশলী হয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মনোনিবেশ করবে। জেনে রাখবে, তুমিই সফল হবে। কারণ তোমার সততা আছে, আন্তরিকতা আছে, আছে একটি নিখুঁত পরিকল্পনা; যা তোমার পেছনে লাগা লোকদের নেই। তাই তারা তোমার পেছনে পেছনে কয়েকদিন দৌড়াবে এবং একসময় ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরে যাবে।
সময়ানুবর্তী হবে এবং বিনয়ী হবে। পরমতসহিষ্ণুতা সফলতার পথে আরেকটি বড় উপাদান। অন্যের কথা শুনবে, কথাগুলো নিয়ে সতর্কভাবে ভাববে। অনেকের মতামত তোমার মতের চেয়ে উত্তম হতে পারে। ভাল মতামত গ্রহণ করবে। কু প্রস্তাব বিনয়ের সাথে হাসি মুখে প্রত্যাখ্যান করবে। মনে রাখবে, তোমার উদ্দেশ্য বাক যুদ্ধ বা পেশী যুদ্ধ নয়; তোমার উদ্দেশ্য জীবনে সফল হওয়া। বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হবে। একজন বন্ধু তোমার চলার পথের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। তোমাকে ভাল থেকে খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে আবার খারাপ থেকে আলোর পথেও নিয়ে যেতে পারে একজন বন্ধু। মাঝেমধ্যে বন্ধুদের বন্ধুত্ব যাচাই করবে। যে বন্ধু তোমার কাছ থেকে প্রত্যাশিত বা অপ্রত্যাশিত কোন কিছু না পেয়ে তোমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে; জেনে রাখবে সে কোনদিনই তোমার প্রকৃত বন্ধু ছিল না। কারণ প্রকৃত বন্ধুত্ব কখনো চাওয়া পাওয়ার হিসেব মেনে চলে না। বন্ধুর কল্যাণে বা অর্জনে যে বন্ধুর মুখ হাসে না; শত অপ্রাপ্তির পরও যে বন্ধু 'ব্যাপার না' বলে বুকে জড়িয়ে নেয় না; সে আবার কিসের বন্ধু? কিসের শুভাকাঙ্ক্ষী? এমন বন্ধুর চেয়ে শত্রু উত্তম। জীবনে সফল হতে হলে, বন্ধু নির্বাচনে কখনোই ভুল করা যাবে না। আত্মতৃপ্তি পরিহার করতে হবে। অতি আত্মতৃপ্তি সফলতার পথে অনেক বড় অন্তরায়। আত্মতৃপ্ত নয়, আত্মবিশ্বাসী হতে হবে।
তুমি কেন সফল হবে না? পৃথিবীতে যারা সফল হয়েছেন তারা কি মানুষ নয়? তুমিওতো মানুষ, তাই না? তুমিও সফল হবে। নিশ্চিতভাবে জেনে রেখ, অবশ্যই সফল হবে।
Do this hack to drop 2lb of fat in 8 hours
ReplyDeleteOver 160000 women and men are utilizing a simple and SECRET "liquids hack" to drop 2lbs every night as they sleep.
It's very simple and it works with anybody.
This is how you can do it yourself:
1) Get a drinking glass and fill it with water half glass
2) Proceed to do this strange HACK
so you'll become 2lbs lighter as soon as tomorrow!