বিঃ দ্রঃ -
এটি কোন রাজনৈতিক মতামত বা বিশ্লেষণ নয়।
শিক্ষার্থীদের এখনই ক্লাসরুমে ফিরে যাওয়া উচিত। আর একটি ঘন্টাও রাস্তায় নয়।
কেউ কেউ ছাত্র সমাজের নিরাপদ সড়কের দাবিতে গড়ে উঠা এই আন্দোলনকে কোটা বিরোধী আন্দোলনের সাথে তুলনা করেন। কিন্তু আমি নিরাপদ সড়কের এই আন্দোলনের সাথে কোটা বিরোধী আন্দোলনের তেমন কোন মিল খুঁজে পাই না।
নিরাপদ সড়কের এই আন্দোলনের সাথে আমি গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের মিল খুঁজে পাই। দুটি আন্দোলনেরই সূত্রপাত হয়েছে "আবেগ" থেকে। পূর্বের আন্দোলনের সূচনা আদালত হতে দন্ডপ্রাপ্ত একজন যুদ্ধাপরাধীর বিজয়সূচক ভি চিহ্ন প্রদর্শনে আর ছাত্র সমাজের সাম্প্রতিক আন্দোলনের সূত্রপাত একজন দেশের পবিত্র পতাকা বহনকারী মন্ত্রী মহোদয়ের অট্টহাসি দেখে। আমরা দেখেছি গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের প্রায় ৮০% সচেতন জনগনের সমর্থন ছিল কিন্তু ধীরে ধীরে বিভিন্ন কারণে জন সমর্থন কমতে থাকে। আসলে জন সমর্থন কমেছে বললে যথার্থ বলা হবে না; বলা যেতে পারে আন্দোলন শুরুর কিছুদিনের মধ্যে কিছু কুচক্রী মহলের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনুপ্রবেশের কারণে সাধারণ জনসাধারণ ধীরে ধীরে উক্ত আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে সাম্প্রতিক সময়ের আন্দোলনেও ধীরে ধীরে আমরা একই চিত্র দেখতে পাচ্ছি। এই আন্দোলনেও কুচক্রী মহলের অনুপ্রবেশ ইতিমধ্যে ঘটে গেছে এবং এই আন্দোলন ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের জনসমর্থন হারাচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা পবিত্র, তারা যা করে সরল মনেই করে। এসব অনুপ্রবেশ, স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে তারা ভাবছে না, তারা ভাবছে ভাল কিছু করার, তারা ভাবছে দূর্নীতিগ্রস্থ এই জাতিকে একটি বার্তা দেওয়ার। তারা সফল। জাতি আজ বার্তা পেয়ে গেছে। এই শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করে দিয়েছে আমরা চাইলে পাথরেও ফুল ফুটাতে পারি। যা কিছু ভাল সব কিছুই করার চেষ্টা করছে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না, ইতিমধ্যে তাদের ঘাড়ে ভর করেছে কিছু নিস্কর্মা, কিছু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মানুষরূপী শয়তান। তারা বুঝে গেছে, তারা জীবনে কিছু করতে পারেনি এবং তাদের দ্বারা কিছু করা সম্ভবও না। তাই তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির লক্ষে এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে ভর করতে এতটুকু লজ্জাবোধ করেনি। নিজেদের স্বার্থের প্রয়োজনে ২/১ জন নয় ১০০০ জন শিক্ষার্থীর জীবননাশেও তারা দ্বিধা করবেনা। তাই আর সময় নেই, শিক্ষার্থীরা চাইলে কি করতে পারে তার বার্তা জাতি পেয়ে গেছে। তাই এখনি ক্লাসে ফিরে যেতে হবে। এটাই উপযুক্ত সময়; নিজেদের স্বার্থে, মা-বাবার স্বার্থে, সর্বোপরি দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে। শিক্ষার্থীরা তাদের অল্প বয়সে হয়তো উপলব্ধি করতে পারছে না, তারা দেশের কত মূল্যবান সম্পদ।
শিক্ষার্থীদের ০৯টি দাবির মধ্যে ১ম, ৩য় ও ৪র্থ দাবিটি বাস্তবায়ন করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার, ২য় ও ৫ম দাবি ইতিমধ্যে পূরণ হয়েছে, ৭ম, ৮ম ও ৯ম দাবি সরকার চাইলেই বাস্তবায়ন করতে পারে এবং বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আর ৬স্ট দাবিটি আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়নি; যদিও সরকার তা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এত কম সময়ে এতগুলো দাবি আদায়ের আশ্বাস আদায় করা শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের পক্ষেই সম্ভব। তাহলে আর কি চাই !
হ্যাঁ, কেউ কেউ দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবে দাবি বাস্তবায়নের মধ্যে যোজন যোজন দূরত্বের কথা উল্লেখ করতে পারেন। কিন্তু আপনাকেতো এক জায়গায় থামতেই হবে, সময় সাপেক্ষ দাবিগুলো বাস্তবায়নে সময় দিতেই হবে। এভাবে দিনের পর দিন রাস্তায় থেকে লাইসেন্স চেক করে কি দাবি আদায় করা যাবে !
আমি এত মারপ্যাঁচ নিয়ে ভাবছি না বা ভাবার ইচ্ছেও পোষণ করছি না। আমি শুধু চাই আমার শিক্ষার্থীরা নিরাপদে থাকুক, আমার এই মূল্যবান সম্পদদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার সুযোগ যেন কেউ না পায়। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম থাকুক সুরক্ষিত।
৪ আগস্ট ২০১৮
চলমান নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা
এটি কোন রাজনৈতিক মতামত বা বিশ্লেষণ নয়।
শিক্ষার্থীদের এখনই ক্লাসরুমে ফিরে যাওয়া উচিত। আর একটি ঘন্টাও রাস্তায় নয়।
কেউ কেউ ছাত্র সমাজের নিরাপদ সড়কের দাবিতে গড়ে উঠা এই আন্দোলনকে কোটা বিরোধী আন্দোলনের সাথে তুলনা করেন। কিন্তু আমি নিরাপদ সড়কের এই আন্দোলনের সাথে কোটা বিরোধী আন্দোলনের তেমন কোন মিল খুঁজে পাই না।
নিরাপদ সড়কের এই আন্দোলনের সাথে আমি গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের মিল খুঁজে পাই। দুটি আন্দোলনেরই সূত্রপাত হয়েছে "আবেগ" থেকে। পূর্বের আন্দোলনের সূচনা আদালত হতে দন্ডপ্রাপ্ত একজন যুদ্ধাপরাধীর বিজয়সূচক ভি চিহ্ন প্রদর্শনে আর ছাত্র সমাজের সাম্প্রতিক আন্দোলনের সূত্রপাত একজন দেশের পবিত্র পতাকা বহনকারী মন্ত্রী মহোদয়ের অট্টহাসি দেখে। আমরা দেখেছি গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের প্রায় ৮০% সচেতন জনগনের সমর্থন ছিল কিন্তু ধীরে ধীরে বিভিন্ন কারণে জন সমর্থন কমতে থাকে। আসলে জন সমর্থন কমেছে বললে যথার্থ বলা হবে না; বলা যেতে পারে আন্দোলন শুরুর কিছুদিনের মধ্যে কিছু কুচক্রী মহলের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনুপ্রবেশের কারণে সাধারণ জনসাধারণ ধীরে ধীরে উক্ত আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে সাম্প্রতিক সময়ের আন্দোলনেও ধীরে ধীরে আমরা একই চিত্র দেখতে পাচ্ছি। এই আন্দোলনেও কুচক্রী মহলের অনুপ্রবেশ ইতিমধ্যে ঘটে গেছে এবং এই আন্দোলন ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের জনসমর্থন হারাচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা পবিত্র, তারা যা করে সরল মনেই করে। এসব অনুপ্রবেশ, স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে তারা ভাবছে না, তারা ভাবছে ভাল কিছু করার, তারা ভাবছে দূর্নীতিগ্রস্থ এই জাতিকে একটি বার্তা দেওয়ার। তারা সফল। জাতি আজ বার্তা পেয়ে গেছে। এই শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করে দিয়েছে আমরা চাইলে পাথরেও ফুল ফুটাতে পারি। যা কিছু ভাল সব কিছুই করার চেষ্টা করছে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না, ইতিমধ্যে তাদের ঘাড়ে ভর করেছে কিছু নিস্কর্মা, কিছু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মানুষরূপী শয়তান। তারা বুঝে গেছে, তারা জীবনে কিছু করতে পারেনি এবং তাদের দ্বারা কিছু করা সম্ভবও না। তাই তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির লক্ষে এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে ভর করতে এতটুকু লজ্জাবোধ করেনি। নিজেদের স্বার্থের প্রয়োজনে ২/১ জন নয় ১০০০ জন শিক্ষার্থীর জীবননাশেও তারা দ্বিধা করবেনা। তাই আর সময় নেই, শিক্ষার্থীরা চাইলে কি করতে পারে তার বার্তা জাতি পেয়ে গেছে। তাই এখনি ক্লাসে ফিরে যেতে হবে। এটাই উপযুক্ত সময়; নিজেদের স্বার্থে, মা-বাবার স্বার্থে, সর্বোপরি দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে। শিক্ষার্থীরা তাদের অল্প বয়সে হয়তো উপলব্ধি করতে পারছে না, তারা দেশের কত মূল্যবান সম্পদ।
শিক্ষার্থীদের ০৯টি দাবির মধ্যে ১ম, ৩য় ও ৪র্থ দাবিটি বাস্তবায়ন করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার, ২য় ও ৫ম দাবি ইতিমধ্যে পূরণ হয়েছে, ৭ম, ৮ম ও ৯ম দাবি সরকার চাইলেই বাস্তবায়ন করতে পারে এবং বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আর ৬স্ট দাবিটি আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়নি; যদিও সরকার তা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এত কম সময়ে এতগুলো দাবি আদায়ের আশ্বাস আদায় করা শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের পক্ষেই সম্ভব। তাহলে আর কি চাই !
হ্যাঁ, কেউ কেউ দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবে দাবি বাস্তবায়নের মধ্যে যোজন যোজন দূরত্বের কথা উল্লেখ করতে পারেন। কিন্তু আপনাকেতো এক জায়গায় থামতেই হবে, সময় সাপেক্ষ দাবিগুলো বাস্তবায়নে সময় দিতেই হবে। এভাবে দিনের পর দিন রাস্তায় থেকে লাইসেন্স চেক করে কি দাবি আদায় করা যাবে !
আমি এত মারপ্যাঁচ নিয়ে ভাবছি না বা ভাবার ইচ্ছেও পোষণ করছি না। আমি শুধু চাই আমার শিক্ষার্থীরা নিরাপদে থাকুক, আমার এই মূল্যবান সম্পদদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার সুযোগ যেন কেউ না পায়। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম থাকুক সুরক্ষিত।
৪ আগস্ট ২০১৮
চলমান নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা
No comments:
Post a Comment