Sunday, March 29, 2020

নষ্ট বন্ধু

#আসল_কথা_পোস্টের_নিচের_অংশে
আমার এক সময়ের সহপাঠী, বন্ধু সুহান (ছদ্মনাম)। এখন সে মাস্টর (শিক্ষক)। যতটুকু মনে পড়ে, ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত সে অনেক ভালো ছাত্র বলে পরিচিত ছিল; যদিও তার বিরুদ্ধে রেজাল্ট টেম্পারিং এর অভিযোগ শোনা যেত। যাইহোক, ৯ম শ্রেণিতে উঠার পর তার মধ্যে দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষিত হয়; ক্রমান্বয়ে সে গাধা হতে অতি গাধার রূপ ধারণ করতে থাকে (ভাষাগত ত্রুটির কারণে দু:খিত) এবং ফলস্বরূপ সে সম্ভবত ৩য় প্রচেষ্টায় এসএসসি এবং ২য় বা ৩য় প্রচেষ্টায় এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল। ততদিনে তার সাথে আমার ও আমাদের অন্যান্য সহপাঠীদের বড় দূরত্ব তৈরি হয়ে গিয়েছিল। শোনা যায় এরপর সে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেছিল ইত্যাদি ইত্যাদি।
ব্যক্তিগত জীবনে তাকে অথর্ব বললেও খুব বেশি বাড়াবাড়ি করা হবে বলে মনে হয় না। আমার সহপাঠী অথচ এখনো বিয়ে করেনি। কেউ কেউ বলে অল্প বয়সী সুন্দরী মেয়ে যোগাড় করতে না পারাই নাকি তার বিয়ে না করার কারণ। জানি না ৪০ বছর বয়সে সে ১৬ বছরের তন্বী প্রত্যাশা করছে কেন! আবার কেউ কেউ বলে কোন এক বিশেষ গুরুদেবী'র বিয়ের পর থেকে নাকি সে অনেক বেশি বেসামাল হয়ে পড়েছে; এমনকি উক্ত বিয়ের পর শিক্ষার্থীদের উপর তার বেত্রাঘাতের পরিমানও অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছিল বলে তৎকালে চর্চা হয়েছিল (ভাষাগত ত্রুটির কারণে আবারো দু:খিত)। তার বাবা শেষ জীবনে অনেক কষ্ট সহ্য করেছিল; এমনকি আমি নিজে উদ্যোগী হয়ে কিছু করতে চেয়েও শুধুমাত্র তার অসহযোগিতার জন্য কিছুই করতে পারিনি। ভীতু প্রকৃতির ছেলে এবং সারাক্ষণ কনফিউজড থাকে। বর্তমানে সে এলাকার নাম করা একটি বিদ্যালয়ের অতিথি শিক্ষক (Guest Teacher).

#আসল_কথা-
বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারলাম বন্ধু সোহান নাকি মাস্টরির নাম দিয়ে ধান্দাবাজি করে। শিক্ষকতায় অতিথি শিক্ষক হতে এখনো স্থায়ি শিক্ষক হতে পারেনি কিন্তু ধান্দাবাজিটা ঠিকই শিখে গেছে।
বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নাকি সে তার কাছে ব্যাচে পড়তে চাপ প্রয়োগ করে। তার কাছে না পড়লে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এমনকি সে নাকি একটা তালিকা শিক্ষার্থীদের নিকট প্রদর্শন করে; যেখানে তার কাছে ব্যাচে পড়া শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা আছে, তালিকা বহির্ভূতরা পরীক্ষায় ফেল করবে বলে সে নাকি প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়।
#হায়_শিক্ষক_হায়_শিক্ষা_ব্যবস্থা

#পুনশ্চঃ-
সকল শিক্ষক সোহানের মতো এমন ধান্দাবাজ নয়। সকলকে এক পাল্লায় না মাপা শ্রেয়। যারা যোগ্য, তারা অবশ্যই নমস্য। আর যারা এমন ধান্দাবাজ, তাদের বিরুদ্ধে অভিভাবক শ্রেণি কথা বলা প্রয়োজন। যে শিক্ষক নিজের কাছে ব্যাচে পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ প্রয়োগ করতে পারে, সে শিক্ষক নামের কলঙ্ক। এধরণের লোকরা শিক্ষকতা নামক মহান পেশাকে কলুষিত করছে।

#হে_একসময়কার_বন্ধু
নিজেকে সংশোধন করে নাও। কিছু টাকার লোভে নিজেকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করো না। মনে রেখ, তোমার মান সম্মান না থাকতে পারে কিন্তু তোমার বাবা সমাজে নমস্য এবং তুমি তোমার বাবার পরিচয়েই এখনো পরিচিত হও কারণ তুমি তোমার নিজের পরিচয় ওভাবে গড়ে তুলতে পারোনি। অন্ততঃ নিজের প্রয়াত বাবার সম্মান রক্ষার্থে হলেও এইসব ধান্দাবাজির পথ থেকে ফিরে আসো।
যখন প্যাচে আটকে যাবে তখন তুমি যাকে গুরু মানো, যে তোমাকে এইসব ধান্দাবাজি শিখিয়েছে বা প্রশ্রয় দেয়; সেও তোমার সাহায্যে এগিয়ে আসবে না। সতর্ক থেকো।

Post Comment

No comments:

Post a Comment