আমার মনেহয় আমাদের বাংলাদেশের সকল কর্মক্ষেত্রে ঘন্টা ভিত্তিক মজুরি ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। অর্থাৎ যেকোনো অফিসে যেদিন যে কর্মী যত ঘন্টা কাজ করবেন, কাজ শেষে অফিস ত্যাগ করার সময় তিনি ওইদিনের তত ঘন্টার মজুরি বুঝে নিয়ে যাবেন।
কোন প্রতিষ্ঠান যখন কর্মী নিয়োগ দিবে, নিয়োগপত্রে প্রতি কর্মদিবসে নূন্যতম কর্মঘণ্টা উল্লেখ করে দিবে; যা তিন ঘন্টার বেশি হবে না এবং উক্ত নিয়োগপত্রে প্রতি ঘন্টার জন্য কতো টাকা করে মজুরি দেওয়া হবে তা উল্লেখ করে দেওয়া হবে। নূন্যতম কর্মঘণ্টা কাজ করা একজন কর্মীর জন্য বাধ্যতামূলক থাকবে; তবে প্রতিষ্ঠানের চাহিদার ভিত্তিতে যেকোনো কর্মী চাইলে অতিরিক্ত কাজ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তিনি নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টার মজুরি'র পাশাপাশি অতিরিক্ত যত ঘন্টা কাজ করবেন, তত ঘন্টার মজুরি পাবেন এবং প্রতিদিনের মজুরি প্রতিদিনই পরিশোধিত হবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে এমন অনেক অফিস আছে যেখানে প্রতি কর্মদিবসে যে পরিমাণ কাজ থাকে, তা সর্বোচ্চ তিন/চার ঘন্টার মধ্যে শেষ করা যায়। অথচ দৈনিক কর্মঘণ্টা আট ঘন্টা। তাই তিন/চার ঘন্টায় কাজ শেষ হয়ে গেলেও কর্মীদের নির্ধারিত আট ঘন্টা অফিসে অবস্থান করতে হয়। এতে দুই পক্ষই বঞ্চিত হয়। অফিস কর্তৃপক্ষকে তিন/চার ঘন্টা কাজের জন্য আট ঘন্টার মজুরি পরিশোধ করতে হয়; অন্যদিকে কর্মীরা অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও নিয়ম রক্ষার জন্য আট ঘন্টা অফিসে অবস্থান করে বাকি তিন/চার ঘন্টা অলস সময় কাটাতে হয়; যে সময়টা তিনি তাঁর পরিবারের সাথে কাটাতে পারতেন বা অন্যকোন উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডে ব্যয় করতে পারতেন।
ঘন্টা ভিত্তিক মজুরি'র সুযোগ করে দিলে একজন কর্মী তার পছন্দ ও প্রয়োজন মাফিক কর্মঘণ্টা বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এমনকি নিজেকে তিনি একইসাথে একাধিক উৎপাদনমুখি কর্মকাণ্ডে জড়িত করতে পারবেন, যা কর্মীর জন্যও লাভজনক এবং দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এতে করে প্রকৃত কর্মীরা যথাযথভাবে মূল্যায়িত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে। কাউকে খুশি করে ভাল পদবি বাগিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা যেমন কমে যাবে তেমনি শুধুমাত্র বসকে খুশি রেখে কোন কাজ না করেও বা নিয়মিত অফিসে উপস্থিত না থেকেও মাস শেষে নির্ধারিত বেতন ভাতা তুলে নিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর সম্ভাবনাও অনেকাংশে কমে যাবে বলে আমার মনে হয়।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার আমার কাছে যা মনে হয়, ঘন্টা ভিত্তিক মজুরি ব্যবস্থা আমাদের চিরাচরিত 'আলসে বাঙালী' জাতিকে একটা কর্মচঞ্চল জাতিতে পরিণত করতে পারে। কারণ, কাজ করলেই টাকা! যত ঘন্টা কাজ, তত ঘন্টার নগদ টাকা!! প্রতিদিনের টাকা প্রতিদিন!!! এমন সুবর্ণ সুযোগ কি বাঙালী জাতি হাত ছাড়া করতে পারে?
৭ এপ্রিল ২০১৯
কোন প্রতিষ্ঠান যখন কর্মী নিয়োগ দিবে, নিয়োগপত্রে প্রতি কর্মদিবসে নূন্যতম কর্মঘণ্টা উল্লেখ করে দিবে; যা তিন ঘন্টার বেশি হবে না এবং উক্ত নিয়োগপত্রে প্রতি ঘন্টার জন্য কতো টাকা করে মজুরি দেওয়া হবে তা উল্লেখ করে দেওয়া হবে। নূন্যতম কর্মঘণ্টা কাজ করা একজন কর্মীর জন্য বাধ্যতামূলক থাকবে; তবে প্রতিষ্ঠানের চাহিদার ভিত্তিতে যেকোনো কর্মী চাইলে অতিরিক্ত কাজ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তিনি নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টার মজুরি'র পাশাপাশি অতিরিক্ত যত ঘন্টা কাজ করবেন, তত ঘন্টার মজুরি পাবেন এবং প্রতিদিনের মজুরি প্রতিদিনই পরিশোধিত হবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে এমন অনেক অফিস আছে যেখানে প্রতি কর্মদিবসে যে পরিমাণ কাজ থাকে, তা সর্বোচ্চ তিন/চার ঘন্টার মধ্যে শেষ করা যায়। অথচ দৈনিক কর্মঘণ্টা আট ঘন্টা। তাই তিন/চার ঘন্টায় কাজ শেষ হয়ে গেলেও কর্মীদের নির্ধারিত আট ঘন্টা অফিসে অবস্থান করতে হয়। এতে দুই পক্ষই বঞ্চিত হয়। অফিস কর্তৃপক্ষকে তিন/চার ঘন্টা কাজের জন্য আট ঘন্টার মজুরি পরিশোধ করতে হয়; অন্যদিকে কর্মীরা অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও নিয়ম রক্ষার জন্য আট ঘন্টা অফিসে অবস্থান করে বাকি তিন/চার ঘন্টা অলস সময় কাটাতে হয়; যে সময়টা তিনি তাঁর পরিবারের সাথে কাটাতে পারতেন বা অন্যকোন উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডে ব্যয় করতে পারতেন।
ঘন্টা ভিত্তিক মজুরি'র সুযোগ করে দিলে একজন কর্মী তার পছন্দ ও প্রয়োজন মাফিক কর্মঘণ্টা বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এমনকি নিজেকে তিনি একইসাথে একাধিক উৎপাদনমুখি কর্মকাণ্ডে জড়িত করতে পারবেন, যা কর্মীর জন্যও লাভজনক এবং দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এতে করে প্রকৃত কর্মীরা যথাযথভাবে মূল্যায়িত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে। কাউকে খুশি করে ভাল পদবি বাগিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা যেমন কমে যাবে তেমনি শুধুমাত্র বসকে খুশি রেখে কোন কাজ না করেও বা নিয়মিত অফিসে উপস্থিত না থেকেও মাস শেষে নির্ধারিত বেতন ভাতা তুলে নিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর সম্ভাবনাও অনেকাংশে কমে যাবে বলে আমার মনে হয়।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার আমার কাছে যা মনে হয়, ঘন্টা ভিত্তিক মজুরি ব্যবস্থা আমাদের চিরাচরিত 'আলসে বাঙালী' জাতিকে একটা কর্মচঞ্চল জাতিতে পরিণত করতে পারে। কারণ, কাজ করলেই টাকা! যত ঘন্টা কাজ, তত ঘন্টার নগদ টাকা!! প্রতিদিনের টাকা প্রতিদিন!!! এমন সুবর্ণ সুযোগ কি বাঙালী জাতি হাত ছাড়া করতে পারে?
৭ এপ্রিল ২০১৯
No comments:
Post a Comment