সময় পাল্টাছে। সাথে পাল্টাচ্ছে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার ধরণ। এখন আর কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ বা বীর নেপোলিয়ন বা বখতিয়ার খিলজির মত যুদ্ধ করে অন্যদেশ দখল করার মত কর্মকাণ্ড বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা নয়। বর্তমানে প্রতিযোগিতা চলছে বানিজ্য যুদ্ধে। আর এই বানিজ্য যুদ্ধের 'এটম বোম' হচ্ছে আইসিটি। আইসিটি'তে যে দেশ যতবেশি অগ্রগামী, সে দেশ তত বেশি প্রভাব খাটাচ্ছে বিশ্বব্যাপী। এখন আর কোন দেশ প্রতিদ্বন্দী দেশের উপর বোম ফেলার চিন্তা করে না বরং সুযোগ মতো একটা বানিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেয়, আর তা যদি হয় আইসিটি ভিত্তিক বানিজ্য নিষেধাজ্ঞা, তাহলে সরাসরি 'এটম বোম'।
কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ঘটে যাওয়া বানিজ্য যুদ্ধের কথা অনেকেরই জানা আছে। যেখানে ১ম পক্ষের কুশিলব ছিল ট্রাম্প সরকার এবং ২য় পক্ষের কুশিলব বিখ্যাত টেক কোম্পানি হুয়াওয়ে। চীনের উপর ট্রাম্প সরাসরি 'এটম বোম' টা ছুড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে হুয়াওয়ে'কে নিষিদ্ধ করে। এতে বিশ্বব্যাপী হুয়াওয়ে'র গ্রাহক কমে যাওয়ার পাশাপাশি নিজেদের বানানো ফোনে স্মার্টফোনের সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম 'এন্ড্রয়েড' ব্যবহারের অধিকার হারাচ্ছিল কোম্পানিটি। কিন্তু আইসিটি সেক্টরে চীনও কাঁচা খেলোয়াড় নয়। চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে চ্যালেঞ্জ করে বসল 'এন্ড্রয়েড' দরকার নেই, তারা নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করবে এবং তা দিয়েই চালাবে স্মার্ট ফোন। অবশেষে আপোষ করতে বাধ্য হয় ট্রাম্প সরকার; তুলে নেয় বানিজ্য নিষেধাজ্ঞা।
সম্প্রতি আরেকটি বানিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে। ২য় বিশ্বযুদ্ধে ঘটে যাওয়া একটা মীমাংসিত বিষয় নিয়ে সম্প্রতি জাপানের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রুল জারি করে দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত। সভ্য জাতি হিসেবে পরিচিত জাপান অবাক হয়ে ব্যাপারটা নিয়ে কোরিয়ার সাথে আলাপ করার ইচ্ছা পোষন করলেও অপর পক্ষ হতে কোন সাড়া না পেয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বানিজ্য যুদ্ধের 'এটম বোম' হামলা চালানোর। ফলে ৪ জুলাই হতে স্মার্টফোন ও সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে ব্যবহৃত মুল্যবান কাঁচামাল দক্ষিণ কোরিয়াতে রপ্তানির ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করে জাপান সরকার। উল্লেখ্য যে এই সব মূল্যবান কাঁচামালের ৭০ শতাংশই উৎপাদন করে জাপান। ফলে হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার দুই টেক জায়ান্ট স্যামসাং ও এলজি। এ বানিজ্য যুদ্ধ কতদিন স্থায়ী হবে বা এতে কোন দেশ জয় লাভ করবে তা এ মুহুর্তে বলা মুশকিল। তবে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারও বসে নেই; তারা জাপানের এই সিদ্ধান্তের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এবার আসুন আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি নিয়ে একটু ভাবা যাক। আমরা কি বৈশ্বিক বানিজ্য যুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছি? আইসিটি ক্ষেত্রের কি অবস্থা আমাদের দেশে?উপরের তথ্যাদির আলোকে নিজেরাই ভাবুন।
৪ জুলাই ২০১৯
কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ঘটে যাওয়া বানিজ্য যুদ্ধের কথা অনেকেরই জানা আছে। যেখানে ১ম পক্ষের কুশিলব ছিল ট্রাম্প সরকার এবং ২য় পক্ষের কুশিলব বিখ্যাত টেক কোম্পানি হুয়াওয়ে। চীনের উপর ট্রাম্প সরাসরি 'এটম বোম' টা ছুড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে হুয়াওয়ে'কে নিষিদ্ধ করে। এতে বিশ্বব্যাপী হুয়াওয়ে'র গ্রাহক কমে যাওয়ার পাশাপাশি নিজেদের বানানো ফোনে স্মার্টফোনের সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম 'এন্ড্রয়েড' ব্যবহারের অধিকার হারাচ্ছিল কোম্পানিটি। কিন্তু আইসিটি সেক্টরে চীনও কাঁচা খেলোয়াড় নয়। চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে চ্যালেঞ্জ করে বসল 'এন্ড্রয়েড' দরকার নেই, তারা নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করবে এবং তা দিয়েই চালাবে স্মার্ট ফোন। অবশেষে আপোষ করতে বাধ্য হয় ট্রাম্প সরকার; তুলে নেয় বানিজ্য নিষেধাজ্ঞা।
সম্প্রতি আরেকটি বানিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে। ২য় বিশ্বযুদ্ধে ঘটে যাওয়া একটা মীমাংসিত বিষয় নিয়ে সম্প্রতি জাপানের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রুল জারি করে দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত। সভ্য জাতি হিসেবে পরিচিত জাপান অবাক হয়ে ব্যাপারটা নিয়ে কোরিয়ার সাথে আলাপ করার ইচ্ছা পোষন করলেও অপর পক্ষ হতে কোন সাড়া না পেয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বানিজ্য যুদ্ধের 'এটম বোম' হামলা চালানোর। ফলে ৪ জুলাই হতে স্মার্টফোন ও সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে ব্যবহৃত মুল্যবান কাঁচামাল দক্ষিণ কোরিয়াতে রপ্তানির ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করে জাপান সরকার। উল্লেখ্য যে এই সব মূল্যবান কাঁচামালের ৭০ শতাংশই উৎপাদন করে জাপান। ফলে হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার দুই টেক জায়ান্ট স্যামসাং ও এলজি। এ বানিজ্য যুদ্ধ কতদিন স্থায়ী হবে বা এতে কোন দেশ জয় লাভ করবে তা এ মুহুর্তে বলা মুশকিল। তবে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারও বসে নেই; তারা জাপানের এই সিদ্ধান্তের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এবার আসুন আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি নিয়ে একটু ভাবা যাক। আমরা কি বৈশ্বিক বানিজ্য যুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছি? আইসিটি ক্ষেত্রের কি অবস্থা আমাদের দেশে?উপরের তথ্যাদির আলোকে নিজেরাই ভাবুন।
৪ জুলাই ২০১৯
No comments:
Post a Comment