আধুনিক পৃথিবীতে বংশ টংশ এসব নিয়ে মানুষ এত ভাবতে চায় না। বর্তমান যুগ সম-অধিকারের যুগ। এযুগে বংশ নিয়ে কথা বলতে গেলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের রোষানলে দগ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পারিবারিক বিয়ে ছাড়া অন্য কোথাও এখন আর বংশের তেমন কদর নেই। তাই বলা যায়, ব্যবহারে মানুষের পরিচয়।
আপনার ব্যবহার জানিয়ে দেবে আপনি কেমন ধরণের মানুষ। আপনি যদি প্রকৃত শিক্ষিত বা জ্ঞানী হন বা আপনার মধ্যে যদি মনুষত্য নামক কিছু থাকে, তবে আপনি বিনয়ী হবেন; আপনার আচরণ মার্জিত হবে।
আর আপনি যদি অশিক্ষিত, বর্বর, স্বল্প শিক্ষিত বা অমানুষ হন তাহলে আপনি উগ্র হবেন, যেখানে সেখানে বেয়াদবী করবেন, নিজেকে বেশি চালাক মনে করবেন, নিজেকে সেরা মনে করবেন, আপনার মাঝে একটা ড্যাম কেয়ার ভাব থাকবে, এমনকি সিনিয়রদের সামনেও পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকতে আপনার এতটুকু সংকোচ বোধ হবে না, কারণ ওই জ্ঞান আপনি অর্জন করেননি, ওই বোধ শক্তি আপনার কাছে নাই।
যে ছেলেটা বিনয়ী, যে সিনিয়রদের সম্মান করে, বন্ধুদের সাথে খারাপ আচরণ না করে হাসি মুখে কথা বলে, অপরের বিপদে এগিয়ে যাবার চেষ্ট করে, কেউ খারাপ আচরণ বা অযাচিত আচরণ করলেও হাসি মুখে মেনে নেওয়ার চেষ্টা করে, তাকে বোকা ভাববেন না। নিশ্চিতভাবে, সে আপনার চেয়ে উত্তম কিন্তু আপনি তা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না কারণ 'মেথর বুঝে না আতরের গন্ধ'।
কোথাও চেয়ার নিয়ে বসে আছেন, সিনিয়র কেউ আসলে উঠে দাঁড়ান, সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করুন, আপনার মান সম্মান কমবে না বরং বাড়বে এবং তা আপনার মনুষ্য বোধের পরিচয় দেবে। কিন্তু সমস্যা হল, আপনাকে বুঝানোর মত কে আছে? আপনি মনে করেন, আপনি একজন সর্বজান্তা, আসলে আপনি একটা হনু। আপনি যদি মনে করেন সকল বিষয়ে আপনার ব্যাপক দক্ষতা, আসলে আপনি খালি কলস তাই বাজেন বেশি।
হে প্রভু জ্ঞান দাও।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
No comments:
Post a Comment